তিন দফা দাবিতে চলতি মাসের শুরুতে টানা তিন দিন রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি এবং দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শিক্ষকরা। ১১তম গ্রেড দেওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর ১২ নভেম্বর তারা ক্লাসে ফেরেন। তবে আশ্বাস বাস্তবায়নে সরকারের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না থাকায় আবারও কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের কর্মসূচি হতে পারে ‘নো টেনথ গ্রেড, নো ওয়ার্ক’ দশম গ্রেড না দিলে তারা ক্লাস বা শিক্ষাকার্যক্রমে অংশ নেবেন না।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ বলেন, ‘গত ১১ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বস্ত করেছিল, তবে শিক্ষকরা তাতে সন্তুষ্ট নন। আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দাবি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানব। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
নতুন কর্মসূচি বিষয়ে তিনি জানান, সরকার দাবিগুলোর বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পরিষদের এক আহ্বায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা দ্রুত প্রজ্ঞাপন চাইব। এ জন্য সময়সীমা বেঁধেও দেওয়া হতে পারে। সেই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আবার কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।’
শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে গেলে প্রাথমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ব্যানারে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো-
- দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ
- ১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান
- শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি