দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিএমডির মোবাইল-অপ্টিমাইজড ওয়েবসাইট উদ্বোধন

দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জনগণের কাছে দ্রুততর আবহাওয়া পূর্বাভাস পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) নতুন একটি মোবাইল ফোন অপ্টিমাইজড আবহাওয়া ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার বিজয় সরণিতে বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরের মাল্টিপারপাস হলে এ ওয়েবসাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. আশরাফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মি. ইচিগুচি তোমোহিদে, চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ – জাইকা বাংলাদেশ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ সাইফুর রহমান, উইং চিফ (উইং–৩), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম। এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সিপিপি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিটি কর্পোরেশন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও সামরিক সংস্থার প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, আইএমইডি, জাইকা বাংলাদেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদল, জাইকার কারিগরি বিশেষজ্ঞ এবং নরওয়েজিয়ান আবহাওয়া ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞগণ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

নতুন মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে জনগণের কাছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সতর্কবার্তা ও জলবায়ুর তথ্য দ্রুত, সহজ ও নির্ভরযোগ্যভাবে পৌঁছে দিতে। এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত কারিগরি সহায়তা (TAPP) প্রকল্প Strengthening the Capacity of Weather and Climate Services এর আওতায়।

বাংলাদেশে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে- এই বাস্তবতা মাথায় রেখে তৈরি এ প্ল্যাটফর্ম আগাম সতর্কবার্তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।

এই ওয়েবসাইট এর প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে কম ব্যন্ডউইথের দ্রুত লোডিং, সব ধরনের মোবাইল স্ক্রিনে উপযোগী রেসপন্সিভ ডিজাইন, পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা দ্রুত পৌঁছানোর সুবিধা, রাডার, স্যাটেলাইট ও আবহাওয়া মানচিত্রের উন্নত ভিজ্যুয়ালাইজেশন এবং আগাম সতর্কতা প্রেরণ ব্যবস্থার সঙ্গে আরও কার্যকর সমন্বয়। এটি কৃষক, জেলে, নগরবাসী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক, নীতিনির্ধারক এবং জরুরি সেবা প্রদানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য দ্রুত তথ্য পাওয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এটি WMO এর Early Warning for All (EW4ALL) উদ্যোগের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বক্তাগণ জাইকার দীর্ঘদিনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন যে, তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা বিএমডির পূর্বাভাস সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবিষ্যতে পূর্বাভাসের নির্ভুলতা বৃদ্ধি, গণমাধ্যম ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় এবং জনসচেতনতা বাড়াতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।