মঙ্গলবারের আগে বিদেশ নেওয়া হচ্ছে না খালেদা জিয়াকে

শারীরিক অবস্থার কারণে এখনই বিমানে চড়ার (ফ্লাই করার) মতো পরিস্থিতিতে নেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফলে আগামী ৯ ডিসেম্বরের (মঙ্গলবার) আগে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ খান কামাল এবং মেডিকেল বোর্ডের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল কাটানোর মতো শারীরিক সক্ষমতা এই মুহূর্তে তার নেই। শুক্রবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স না পৌঁছানোয় এবং শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় যাত্রা স্থগিত করা হয়।

এদিকে খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কাতার আমিরের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জার্মানি থেকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় পৌঁছাবে। ঢাকাস্থ কাতার দূতাবাস নিশ্চিত করেছে যে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি এদিন বিকেল ৫টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

শাশুড়ির চিকিৎসার তদারকি ও তাকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান।

শুক্রবার সকালে লন্ডন থেকে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় অবতরণ করেন। সকাল পৌনে ১১টায় বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে শাশুড়ির সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে দুপুরে ধানমন্ডির পৈতৃক বাসভবনে বিশ্রাম নেন। এরপর রাত ৮টা ২২ মিনিটে তিনি আবারও হাসপাতালে ফিরে যান এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ৯ ডিসেম্বরের পর তাকে বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।