ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদির পরিবারের নিরাপত্তা জোরদারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই অনুযায়ী ওসমান হাদির এক বোনকে ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স ও একজন গানম্যান দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি সুরক্ষা নিশ্চিত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের একাধিক সূত্র থেকে এই তথ্য জানা যায়।
জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা, সমন্বয়ক, সংসদ-সদস্য প্রার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আন্দোলনের সম্মুখসারিতে থাকা একাধিক ব্যক্তিকে ইতোমধ্যে গানম্যান দেওয়া হয়েছে এবং অস্ত্রের লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলো থেকে আরও জানা যায়, আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধারা গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকেই ধারাবাহিক হুমকির মুখে রয়েছেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পলাতক নেতাকর্মীরা দেশে ও বিদেশ থেকে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের হুমকি দিয়ে আসছে। এসব হুমকির লক্ষ্যবস্তু ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
সূত্র থেকে আরও জানা যায়, ওসমান হাদিকে হত্যাকাণ্ডের আগে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি নম্বর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে মারা যান তিনি। তার হত্যাকাণ্ডের পর পরিবারটির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হলে সরকার দ্রুত এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।