বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তাতে মানুষের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।
ঢাকায় রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) এ্যাংকর মিলনায়তনে শনিবার (১৬ নভেম্বর) ‘সবার আগে সার্বভৌমত্ব, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কথা উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ছাত্ররা অর্জন করেছে, দেশের মানুষ সুফল পেয়েছে। কিন্তু সমস্যাটি হলো তারা এই সুফল নিয়ে বসে থাকতে চায় না। তারা এর পরবর্তী অধ্যায় দেখতে চায়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ না থাকলে শুধু অস্ত্র দিয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা যায় না। এই জনগোষ্ঠীকে যদি নানাভাবে বিভক্ত করা যায়, তাহলে সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করার মূল ভিত্তি তৈরি হয়। ফ্যাসিস্ট সরকার সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে যে ভয়ংকর কাজটি করেছে, তা হলো জনগণকে ক্রমাগত বিভক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐক্য ধরে রেখে এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে আমরা তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারি।’
সাসটেইনেবল সভরেইন বাংলাদেশ ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির। এতে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা সরকার লোকচক্ষুর অন্তরালে ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী অনেক চুক্তি ও সমঝোতা করেছে। ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের নামে বিনা মূল্যে একতরফা সড়ক ও রেল করিডর দিয়েছে। বিদ্যুৎ খাতকে ভারতনির্ভর করেছে। ভারত বাংলাদেশকে তাদের একচেটিয়া বাজারে পরিণত করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হক, আইনজীবী মোহাম্মদ মোহসেন রশীদ, লেখক আবু সাইদ আহমেদ, মেজর (অব.) শামসুজ্জোহা, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আহত এমদাদ বাবু প্রমুখ।