নির্বাচনের জন্য ধৈর্য ধরব: জামায়াতের আমির

নির্বাচনের জন্য জামায়াত ধৈর্য ধরবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। আরও কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরতে পারব।’

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল করিম।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচন সংস্কার কমিটি হয়েছে। তারা কাজ করছে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী বছরের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচনের কাজ করতে সংস্কার কমিশনের আরও এক বছর সময় লাগবে। আমরা দেখতে চাই, তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। সংস্কারকাজে জামায়াত সহযোগিতা করবে।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া হবে। দেশে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি চলবে না। দখলবাজ, চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়তে নেতা-কর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কর্মক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে যে তিনটি ডামি নির্বাচন করেছেন, জনগণ সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে।’

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘তৎকালীন সরকারের আমলে শাপলা চত্বরে রক্তের বন্যা বইয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। সেই তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। সে বিচার আজও হয়নি। এ ঘটনায় নাটক সাজিয়ে তার দায়ভার বিরোধী দলের ওপর দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের ওপর কারা কারা অত্যাচার করেছে, তাদের সম্পত্তি কারা দখল করেছে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সেসব বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। যারা দোষী, তাদের বিচার করা হবে।’

গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা–কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন।

এতে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আবদুর রহিম, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।