দেশকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় দেখতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এজন্যই আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি, যাতে দেশ যত দ্রুত সম্ভব একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এর বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া করতে গেলে মানুষের মনে সন্দেহ ও ভিন্ন ধারণা তৈরি হবে। সেটা হবে অগণতান্ত্রিক।’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ন ও উন্নয়নে বহির্বিশ্ব বিএনপির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনের সফলতা, দেশের ১৮ কোটি মানুষের সফলতা। যার যার অবস্থান থেকে সবার অবদান আছে। প্রবাসীদের ত্যাগ, অবদান রয়েছে। অনেকেই বলেছেন, প্রবাসীরা নিরাপদ জোনে থেকে আন্দোলন করেছে। কিন্তু তাদের পরিবার ও স্বজনরা বাংলাদেশে কীভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, আমরা জানি। বাংলাদেশের মতো এত সহজে প্রবাসে আন্দোলন করা যায় না। স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বা বিশ্বব্যাংকের সামনে জমায়েত করা এত সহজ না। তারপরও বিএনপির হাজার হাজার লোক রাজপথে আন্দোলন করেছেন। আমরা তাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশ ও প্রবাসীদের কল্যাণে যা করা দরকার, সেদিকে আমরা নজর রাখব, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা কিন্তু বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে এবং রেমিট্যান্স বন্ধ করে যুদ্ধ করেছে। তারা দেশ ও জাতির প্রতি কমিটমেন্ট রেখেছে। তার ফলাফল জাতি পেয়েছে।’
তিনি আরো নেতা বলেন, ‘অনেকেই আন্দোলনে অনেক পরে যোগ দিয়েছেন। তারা আমেরিকায় হোয়াইট হাউসের সামনে, ব্রাসেলস, জাপান, লন্ডন ও অস্ট্রেলিয়ার আন্দোলন দেখেনি। এই আন্দোলনের পেছনে ড্রাইভ দিয়েছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়া ড্রাইভ দিয়েছেন। তিনি নিজে জেল খেটেছেন। পুরো আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি। এটা রেকর্ড থাকা দরকার।’
প্রবাসীদের দাবি দাওয়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘আপনাদের দেশপ্রেম ও ভালোবাসা শেষ হলে চলবে না। আন্দোলন শেষ হয়নি। আপানাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে।’