বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেত্রী লাকী আক্তারসহ বিশিষ্টজনদের নামে শাহবাগ থানায় করা হয়রানিমূলক ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি। রোববার (৪ মে) এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং কৃষক সমিতির সংগঠক লাকী আক্তারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে একটি গোষ্ঠী দেশের গণতান্ত্রিক অর্জনকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করছে। মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি প্রগতিশীল রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিকদের হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঘটনার সময় লাকী আক্তার রাজপথে ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। অথচ সেই সময়কে উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। সেখানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদসহ আরও অনেক নিরপরাধ ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। সিপিবি নেতারা আরও বলেন, এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র এবং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে বিচারের প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা।
সিপিবির দাবি, লাকী আক্তার বা অভিযুক্ত অন্যদের এ ধরনের ঘটনায় যুক্ত থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, অন্যথায় এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সিপিবি নেতাদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একই ধরনের হয়রানিমূলক মামলা আরও অনেক রাজনৈতিক কর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধেও হয়েছে, যাঁরা প্রকৃত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন। এসব মামলা প্রকৃত অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করছে এবং বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা নষ্ট করছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং একাত্তরের গণহত্যাকারীদের বিচার ও গণআদালতের চেতনা অব্যাহত রাখতে হবে। সিপিবি নেতারা গণআদালত, গণজাগরণ মঞ্চ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সহ্য না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং সব হয়রানিমূলক মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।