জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক ডা. কর্নেল (অব) জেহাদ খান বলেছেন, শেখ হাসিনার মতো নারী স্বৈরশাসক পৃথিবীতে বিরল। আমরা ইতিহাসে অনেক স্বৈরাচারের নাম শুনেছি, ফেরাউন-নমরুদ-স্ট্যালিনের নাম শুনেছি, কিন্তু এমন কোনো নারী স্বৈরাচারের নাম শুনিনি।
তিনি বলেন, একজন নারী হিসেবে শেখ হাসিনা যা করেছেন ইতিহাসে এর কোনো নজির নেই। সংবিধানের দোহাই দিয়ে তিনি নানা আপকর্ম করেছেন। গণআন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে স্বৈরাচারকে হঠানোর নজির কিন্তু খুবই কম। জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদকে হটানো কিন্তু খুবই কঠিন। রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে “জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়” শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ শিশির মনির।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
অধ্যাপক ডা. কর্নেল (অব) জেহাদ খান বলেন, আমার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বড় ভাই জানিয়েছেন, তাকে বিভিন্ন দেশের মানুষ জিজ্ঞাসা করে, তোমরা কীভাবে এটা (ফ্যাসিবাদের পতন) করতে পারলে?
কর্নেল জেহাদ খান বলেন, বিশ্ববাসীর সামনে আমরা একটা নজির স্থাপন করেছি এইটা আমাদের বিরাট বড় অর্জন, এই অর্জন যদি আমরা ধরে রাখতে চাই তাহলে অবশ্যই জুলাই সনদকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যথায় শহীদ আবু সাইদ, মীর মুগ্ধসহ অসংখ্য শহীদদের ত্যাগ ব্যর্থ হয়ে যাবে। আবারও স্বৈরাচার ফিরে আসার আশংকা থাকবে। এই দেশে যাতে কেউ আর কোনোভাবেই স্বৈরাচার ফিরতে না পারে, আর ভবিষ্যতে কেউ যেন স্বৈরাচার হয়ে না উঠতে পারে সেজন্য সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, বিগত ৫৪ বছরে নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতার কারণেই ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতায় এসেছিল। জনগণের আন্দোলনের কারণে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আর যাতে ফ্যাসিবাদ ক্ষমতায় আসতে না পারে সে কারণেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া দরকার। আইনসভার দু’কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।