কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, রাজধানীর একটি সভায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ জাতীয় নেতাদের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আলোচনা বানচাল করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক দেশে মেনে নেওয়া যায় না। এসময় তিনি গ্রেপ্তার নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসভবন সোনার বাংলাতে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজ রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি আলোচনা সভায় আমাদের নেতা লতিফ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন ড. কামাল হোসেন। জেড আই খান পান্নাও ছিলেন। ঠিক সে সময় মব দিয়ে অনুষ্ঠান বানচাল করা হয়েছে। এটি কোনো সাংবিধানিক কিংবা আইনি অধিকার নয়। অথচ তাদের এখনো ডিবি অফিসে আটকে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মঞ্চ ৭১’-এর অনুষ্ঠানে যারা ছিলেন তাদের অনেককে পুলিশও তুলে নিয়ে গেছে। আমি দাবি করছি, তাদের সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হোক।’ ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনুসের প্রতি আহ্বান জানাই।
লতিফ সিদ্দিকীর অবদানের কথা উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যেমন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না, তেমনি লতিফ সিদ্দিকীর জন্ম না হলে টাঙ্গাইলের রাজনীতি আজকের অবস্থায় পৌঁছাতো না।’
তিনি অভিযোগ করেন, ২৪’র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয়ীরা আজ জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম তাদের বিজয় দীর্ঘস্থায়ী হবে। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে তাদের কার্যকলাপে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের দোসরদের চাইতেও এ স্বৈরাচার ভয়াবহ। মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না, মত প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রধান সমস্যা হলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোনো দলের নয়, তারা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা। তাদের সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর যদি বর্তমান সরকার এভাবে দেশ চালাতে না পারে, তবে সরে দাঁড়ানো উচিত। জনগণের দায়িত্ব নিয়েই ক্ষমতায় থাকতে হবে।
এ সময় কাদের সিদ্দিকী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও অশোভন আচরণের নিন্দা জানান এবং বলেন, ফজলুর রহমান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রতি এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।