রাজধানীর কাকরাইলে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক)।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, ‘নুরুল হকের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে এবং তার নাকের হাড় ভেঙে গেছে। এতে করে শুক্রবারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। যদিও বর্তমানে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে এবং জ্ঞান ফিরে এসেছে, তবে ৪৮ ঘণ্টার আগে তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও জানান, শুক্রবার রাতেই গঠিত মেডিকেল বোর্ড শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে নুরুল হকের চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টি (জাপা) কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় উভয় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপ করে।
গণ অধিকার পরিষদ অভিযোগ করেছে, মিছিলের সময় জাপা নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর আক্রমণ চালান। অন্যদিকে জাপার দাবি, গণ অধিকার পরিষদের মিছিল থেকেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেন, মিছিল শেষে যখন সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে সভাপতি নুরসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। নুরসহ অন্তত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংঘর্ষ এড়াতে বারবার শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু কিছু নেতা-কর্মী মব ভায়োলেন্স শুরু করে, ইট-পাটকেল ছোঁড়ে এবং মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা বাড়ায়। তারা স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায়, বাধ্য হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগ করে। ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
বর্তমানে নুরুল হক ঢামেকে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা পর্যবেক্ষণে রেখেছে গঠিত মেডিকেল বোর্ড। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা তার শারীরিক অবস্থার জন্য জরুরি সময়।