মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পরোয়ানাভুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার কার্যক্রম ট্রাইব্যুনালে চালানোর দাবি জানিয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও আমজনতার দলের সভাপতি কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দলের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালত যখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, তখন আইন অনুযায়ী আসামিদের গ্রেপ্তারের পর দ্রুতই ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে। সেখানে বিচার হবে, জামিন বা কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আদালতই নেবে। বিচার কার্যক্রম ট্রাইব্যুনালেই চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচার শেষে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি সেনাবাহিনী বিবেচনা করতে পারে, তবে আদালতের প্রক্রিয়া এড়ানো যাবে না।
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৬ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন সেনা হেফাজতে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ। তিনি ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব। সর্বশেষ তিনি সিলেটের স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (SI&T)-এর কমান্ড্যান্ট ছিলেন।
সেনাসদরের বরাতে জানা গেছে, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ৯ অক্টোবর সকালে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। তার পরিবারের দাবি, তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনী হেফাজতে থাকা ১৫ কর্মকর্তাকে নির্ধারিত তারিখে ট্রাইব্যুনালে হাজির করবে এবং আদালতের কার্যক্রম শেষে আবার হেফাজতে নেবে।