বিএনপি’র ৬৩ আসন ফাঁকা রাখার কারণ

বিএনপির পক্ষ থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের জন্য ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে পাশে থাকা সমমনা দলগুলোর জন্য কিছু আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ঘটতে পারে এ কারণেও কিছু আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণার আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের নামের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘প্রায় ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পরে আগামী ২০২৬ সালের ফেব্র্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। বিএনপির পক্ষ থেকে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমরা ইতিমধ্যে সারাদেশে সব ইউনিটে কাজ শুরু করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা দিতে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছে তাদের মধ্যে যেসব আসনে তাদের প্রার্থী দিতে চান সেখানে আমরা প্রার্থী দিইনি। তারা কোন কোন আসনে প্রার্থী দেবেন তা আমাদের জানাবেন। পরে সমন্বয় করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিতি ছিলেন।