নবীজি ৪ সূরা না পড়ে ঘুমাতেন না

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাঝে রয়েছে সবার জন্য উত্তম আদর্শ। তিনি মানবতার মুক্তির দূত। তিনি মহান আল্লাহর ইবাদত ও ধ্যানে মগ্ন থাকতেন।  প্রিয়নবীর কাছে রাতে নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়ার গুরুত্ব ছিল। কিছু সূরা পাঠ রাতের নিয়মিত আমল ছিল নবীজির। ৪টি সূরার বিষয়ে হাদিসে এসেছে, ওই ৪ সূরা না পড়ে তিনি ঘুমাতেন না। 

সূরাগুলো হলো— ১. সূরা মুলক ২. সূরা সাজদা ৩. সূরা বনি ইসরাইল ও ৪. সূরা জুমার। 


সূরা মুলক ও সূরা সাজদা

 

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী (স.) ‘আলিফ লাম মিম, তানজিলু’ (সাজদা) ও ‘তাবারাকাল্লাজি’ (মুলক) পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৮৯২)

সূরা বনি ইসরাইল ও সুরা জুমার

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী (স.) সূরা জুমার ও বনি ইসরাইল পাঠ না করে ঘুমাতেন না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৪০৫)

এই চারটি সূরা ছাড়াও কিছু সুরা নবীজি রাতে পড়তেন বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। যেমন- তিন কুল (সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস) পড়ে দুই হাত একত্র করে ফুঁক দিয়ে পুরো শরীরে যতটা সম্ভব হাত বুলাতেন। (বুখারি: ৫০১৭) 

এছাড়াও মুসাব্বিহাত সূরাগুলো পাঠ করতেন।’ (তিরমিজি: ২৯২১) 

মুসাব্বিহাত সূরা হলো- সূরা হাদিদ, হাশর, ছফ, জুমা ও তাগাবুন। (তাফসিরে কুরতুবি: ১৭/২৩৫) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাতে নবীজি সূরা আলে ইমরানের (শেষ) ১০ আয়াত তেলাওয়াত করেছেন।’ (বুখারি: ৯৯২)

এছাড়া আয়াতুল কুরসি এবং সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের কথাও হাদিসে দেখা যায়। এক হাদিসে এসেছে, ‘কেউ যদি শোবার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করে, সকাল পর্যন্ত একজন ফেরেশতা তাকে শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করে।’ (বুখারি: ৩২৭৫) সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত সম্পর্কে নবীজি বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (সহিহ বুখারি: ৪০০৮)। ‘যথেষ্ট হওয়ার অর্থ তাহাজ্জুদ, শয়তান ও বিপদ থেকে যথেষ্ট হবে।’ (শরহু মুসলিম: ৬/৯২)

উল্লেখিত সবগুলো সূরা পাঠ নবীজির রাতের আমল হলেও ৪টি সূরার ব্যাপারে হাদিসে বিশেষভাবে বলা হয়েছে- ওসব সূরা পাঠ না করে নবীজি ঘুমাতেন না।