রজব মাসকে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি ও রমজানের প্রস্তুতির সূচনাকাল বলা হয়। এই মাসকে ঘিরে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা, কোরআনের নির্দেশনা এবং আত্মিক উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। কীভাবে রজবকে কাজে লাগিয়ে আধ্যাত্মিকভাবে আরও উন্নতি করা যায়। এমন কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো—
রজব মাসকে পবিত্র বলা হয় কেন?
রজবসহ চারটি মাসকে পবিত্র বলা হয় দুই কারণে। এক, এই সময় যুদ্ধ নিষিদ্ধ, যদি না শত্রুপক্ষ আক্রমণ শুরু করে। দুই, এই মাসগুলোতে সীমালঙ্ঘন ও পাপের পরিণতি অন্য সময়ের তুলনায় বেশি গুরুতর।
রজব মাসের উপকারিতা পাওয়ার ৬ কার্যকর পরামর্শ
নিয়ত ঠিক করুন
সব কিছুর শুরু নিয়ত দিয়ে। রজব মাসের আমলের উদ্দেশ্য হোক, শারীরিক ও মানসিকভাবে রমজানের জন্য প্রস্তুত হওয়া।
ক্ষমা চান এবং ক্ষমা করুন
কেউ পাপমুক্ত নয়। তাই আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে তওবা করুন, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান। পাশাপাশি অন্যদের ভুল ক্ষমা করে দিন, যাতে হৃদয় হিংসা ও বিদ্বেষমুক্ত থাকে এবং রমজানে ইবাদতে মন বসে।
অতিরিক্ত কিছু রোজা রাখুন
রজব মাসে বিশেষ কোনো রোজার ফজিলত সম্পর্কে সহিহ কোনো বর্ণনা নেই। তবে সোম ও বৃহস্পতিবার, অথবা চান্দ্র মাসের মধ্যবর্তী তিন দিন রোজা রাখা সুন্নত। মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতির জন্য এটি কার্যকর অনুশীলন।
নিজেকে সংযত করার চর্চা করুন
নফসের চাহিদা কমাতে ছোট ছোট অনুশীলন শুরু করুন। যেমন, সহজ, স্বাভাবিক খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত মিষ্টি বা অপ্রয়োজনীয় ভোগ এড়িয়ে চলা। এতে রমজানে আত্মসংযম সহজ হবে।
দান-সদকার বিষয়ে সচেতন হোন
রজবে আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে দান করুন। কাউকে সাহায্য করা, খাবার রান্না করে দেওয়া, সুন্দর কথা বলা, মাকে হাসানো কিংবা কোনো খারাপ অভ্যাস ছাড়ার চেষ্টাও সদকার অন্তর্ভুক্ত।
বেশি বেশি দোয়া করুন
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, রমজান পর্যন্ত পৌঁছার তাওফিক চান এবং পূর্ববর্তী রমজানগুলোর ইবাদত কবুলের জন্য দোয়া করুন।