চলতি বছর হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে মো. ইদ্রিস খান নামে আরেক হজযাত্রী মারা গেছেন। বিদায়ী তাওয়াফরত অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৮ বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেলেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজবিষয়ক প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বছর হজের আগে ও পরে মারা যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হলেন- ঢাকার বংশালের মনির হোসেন (৫৯), কিশোরগঞ্জের ফরিদা ইয়াসমিন (৫৩), পিরোজপুরের নার্গিস (৬০), ঢাকা নিউ মার্কেটের আমিনুল ইসলাম (৬৫), নোয়াখালীর মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮), রংপুরের সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিক তোফাজ্জল হক (৭০), ঢাকা মোহাম্মদপুরের রওশন আরা বেগম (৭২), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রেজাউল করিম মন্ডল (৬১), টাঙ্গাইল সদরের আলমগীর হোসেন খান (৭৩), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুফিয়া খাতুন (৬২), কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মো. শাহ আলম (৭৭), রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫), গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কুমিল্লার কোতয়ালীর আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান খান (৬৩), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), মো. ইদ্রিস খান।
এ বছর হজ পালন করতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়।
সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক এএফপিকে বলেন, মৃত হজযাত্রীর মধ্যে ৬৮ জন ভারতীয় নাগরিক, ৩২৩ জন মিশরের নাগরিক, জর্ডানের অন্তত ৬০ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সেনেগাল, তিউনিসিয়া এবং ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান থেকে আসা বহু হজযাত্রীর প্রাণহানি হয়েছে। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট করে জানাননি কর্তৃপক্ষ।
হজশেষে বৃহস্পতিবার শুরু হবে দেশে ফেরার ফ্লাইট। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।