গির্জায় গির্জায় চলছে প্রার্থনা

বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ও নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন। গির্জায় গির্জায় চলছে প্রার্থনা। গির্জার চারপাশে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ভেতরে ক্রিসমাস ট্রিতেও আলোর ঝলকানি দেখা গেছে। গির্জা প্রাঙ্গণে তৈরি করা হয়েছে গো-শালা। এর পাশে রাখা হয়েছে সান্তাক্লজ।

রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তাক্লজ। অনেক হোটেলে আলোক সজ্জাও করা হয়েছে।  


মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে গির্জাগুলোতে উৎসবের আমেজ শুরু হয়। সান্তাক্লজের অপেক্ষায় রাজধানীর গির্জাগুলো সব বয়সের মানুষদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। সবারই যীশুখৃষ্টের কাছে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করছেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বার্তায় বলেছেন, বড়দিনে দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতির সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। 

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এদেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করছে। এখানে রয়েছে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা। বড়দিন দেশের খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ ও সম্প্রীতিকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমি আশা করি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যীশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত।