পুরো রমজান মাস ফজিলত ও বরকতে পূর্ণ। এই মাসকে তিন ভাগে ভাগ করে প্রথম দশ দিন রহমতের, এরপরের দশ দিন মাগফেরাতের ও শেষ দশ দিন নাজাতের। রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজান এমন এক মাস যার শুরুতে রহমত মাঝে মাগফিরাত এবং শেষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (ইবন খুজাইমা, হাদিস : ১৮৮৭)
রমজানের শেষ ভাগ বা শেষ দশকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল ও ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সুন্নত ইতিকাফ, শবে কদর অনুসন্ধান, সদকতুল ফিতর আদায়, ঈদের চাঁদ দেখা ও ঈদুল ফিতরের দিনের সুন্নত আমলের প্রস্তুতি গ্রহণ।
খবর সংযোগের পাঠকের জন্য রমজানের শেষ দশকের এমন কিছু আমল ও ফজিলত এখানে তুলে ধরা হলো -
ইতিকাফ
ইতিকাফ সম্পর্কে কোরআনুল কারিমে বলা হয়েছে, ‘মনে কর সেই সময়কে, যখন আমি কাবা ঘরকে মানুষের মিলনক্ষেত্র ও আশ্রয়স্থল করেছিলাম। আর আমি বলেছিলাম, তোমরা ইব্রাহিমের দাঁড়ানোর জায়গাকেই নামাজের জায়গারূপে গ্রহণ কর। আর আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করি; তোমরা আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে, তাদের জন্য যারা এটা প্রদক্ষিণ করবে, এখানে বসে ইতিকাফ করবে এবং এখানে রুকু ও সিজদা করবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ দশদিন ইতিকাফ করবে, তাকে দুটি হজ ও দুটি ওমরা পালন করার সওয়াব দান করা হবে। (শুয়াবুল ঈমান, হাদিস : ৩৬৮০)
সদকাতুল ফিতর
ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে সদকাতুল ফিতর আদায়ের বিধান দেওয়া হয়েছে। তবে রমজানের শেষ দশকে বা শেষ দশকের আগে তা আদায় করা উত্তম। এতে করে অসহায় মানুষদের জন্য সুবিধা। তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।
কোনো কোনো সাহাবী থেকে ঈদের কয়েকদিন পূর্বে ফিতরা আদায়ের কথা প্রমাণিত আছে। যেমন নাফে রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. ঈদের দু’ একদিন পূর্বেই তা (ফিতরা) আদায় করে দিতেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ১৬০৬)
আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজে রোজার যে ক্ষতি হয় তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকের আহার যোগানোর জন্য সদকাতুল ফিতর প্রদান করা হয়। (সুনানে আবু দাউদ)
শবে কদর অনুসন্ধান
রমজানের শেষ দশকের বিজোর রাতগুলোতে শবে কদর অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে হাদিসে। বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি)
শবে কদরের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আমি কোরআন নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সূরা কদর, আয়াত : ১-৩