কাজা রোজা রাখার পদ্ধতি

শরিয়ত অনুমোদিত কোনো কারণে সময় মতো রোজা পালন করতে না পারলে অথবা রোজা রেখে ভেঙে ফেললে পরে তা আদায় করাকেই কাজা বলে।

যত দ্রুত সম্ভব কাজা রোজা আদায় করে নেয়া কর্তব্য। তাই ঈদের পর পরই যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজা রোজা আদায় শুরু করা উত্তম। 

কোনো কারণ ছাড়া কাজা রোজা আদায় করতে বিলম্ব করা মাকরুহ। এক রমজানের কাজা রোজাগুলো আগামী রমজান আসার আগে আদায় করে নেয়া ওয়াজিব। 

যদি বিনা কারণে আগামী রমজান পর্যন্ত বিলম্ব করে, তাহলে বান্দা গুনাহগার হবেন। বছরের যে কোনো দিন কাজা রোজা আদায় করা যাবে। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ দিনগুলো বাদ দিতে হবে। 

অর্থাৎ যেসব দিনে রোজা রাখা ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ সেসব দিন বাদ দিতে হবে। যেমন ঈদ উল ফিতরের দিন, ঈদ উল আযহারের তিন দিন ইত্যাদি।

তবে এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি যদি বছরের নির্দিষ্ট কোনো দিনে রোজা রাখবে বলে মানত করেন, তাহলে সেই দিনও কাজা রোজা আদায় করা যাবে না। 

ঋতুস্রাবের কারণে যেসব নারী রমজানের সবগুলো রোজা রাখতে পারেননি, তারাও উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করবেন।

(বুখারি শরিফ, হাদিস : ১৯৫০, মুসলিম, হাদিস: ১১৪৬)