মহররম আরবি সনের প্রথম মাসইসলামের ইতিহাসের ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় বহু ঘটনা আশুরার সঙ্গে মিশে আছে। ইসলামি শরিয়তের আলোকে আশুরার অনেক তাৎপর্য ও ফজিলত রয়েছে। এছাড়া আশুরায় বেশ কিছু বর্জনীয় কাজ আছে। চলুন জেনে নিই আশুরার বর্জনীয় কাজগুলো কী কী।
আশুরায় যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন
১. হজরত হুসাইন (রা.)-এর স্মরণে কাল্পনিক তাজিয়া বা নকল কবর বানানো থেকে বিরত থাকা।
২. তাজিয়া বানিয়ে তা কাঁধে বা যানবাহনে বহন করে মিছিলসহ সড়ক প্রদক্ষিণ করা থেকে বিরত থাকা।
৩. নকল এসব তাজিয়ার সামনে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করা থেকে বিরত থাকা এবং তাজিয়া বা নকল কবরে নজরানা স্বরূপ অর্থ দান করা থেকে বিরত থাকা।
৪. নিজেদের দেহে আঘাত বা রক্তাক্ত করা থেকে বিরত থাকা।
৫. শোক বা মাতম করা থেকে বিরত থাকা।
৬. যুদ্ধসরঞ্জামে সজ্জিত হয়ে ঘোড়া নিয়ে প্রদর্শনী করা থেকে বিরত থাকা।
৭. হায় হুসেন, হায় আলি ইত্যাদি বলে বিলাপ, মাতম কিংবা মর্সিয়া ও শোকগাথা প্রদর্শনীর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের বুকে-পেটে-পিঠে ছুরি মেরে রক্তাক্ত করা থেকে বিরত থাকা।
৮. ফুল দিয়ে সাজানো এসব নকল তাজিয়া বা কবরের বাদ্যযন্ত্রের তালে প্রদর্শনী থেকে বিরত থাকা।
৯. হজরত ইমাম হুসাইন রাদিয়াল্লাহ তা’য়ালা আনহুর নামে ছোট বাচ্চাদের ভিক্ষুক বানিয়ে ভিক্ষা করানো। এটা করিয়ে মনে করা যে, ওই বাচ্চা দীর্ঘায়ু হবে। এটা মহররম বিষয়ক একটি কু-প্রথা।
১০. আশুরায় শোক প্রকাশের জন্য নির্ধারিত কালো ও সবুজ রঙের বিশেষ পোশাক পরা থেকে বিরত থাকা।