বিয়ে শুধু সামাজিক বন্ধন নয়, বরং এটি ইসলামের দৃষ্টিতে এক মহান ইবাদত। বিয়ের মাধ্যমে নারী ও পুরুষ একটি নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হয়, একে অপরের জীবনের অংশ হয়ে যায়। এই নতুন বন্ধনের মধ্য দিয়ে সারা জীবন একসাথে চলার শপথ নেন তারা।
কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের জন্য পোশাকস্বরূপ- যেমন পোশাক মানুষকে আবরিত করে, রক্ষা করে, সৌন্দর্য বাড়ায়; তেমনি স্বামী-স্ত্রীও একে অপরকে আবরিত করেন, সান্ত্বনা দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।
সব কিছু শান্ত্বভাবে ধৈর্যের সাথে মানিয়ে নিয়ে দাম্পত্য জীবন চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হয়। স্ত্রীকে ভালোবাসা, সম্মান করা, তার চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা, কষ্টের সময়ে পাশে দাঁড়ানো- এসবই একজন মুমিন স্বামীর বৈশিষ্ট্য।
তেমনি স্বামীর কাছে স্ত্রীকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা জরুরি। হাদিসে একজন ভালো, নেককার ও সতী স্ত্রীকে পৃথিবীর ‘সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ’র সাথে তুলনা করা হয়েছে।
রাসুল (সা:) বলেছেন, ‘দুনিয়ার পুরোটাই সম্পদ। তবে দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ হলো সতী স্ত্রী।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৬৫৬৭)
হাদিসে নেককার স্ত্রীকে সর্বোত্তম সম্পদের সাথে তুলনার মাধ্যমে নারীকে স্বামীর জন্য একনিষ্ঠ ও স্বামীকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে পুরুষের ভালোমন্দ পরিমাপের মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন পুরুষ নিজের চারপাশের পরিবেশের সাথে কতটা ভালো ব্যবহার করছেন তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো তিনি নিজের স্ত্রীর সাথে কেমন আচরণ করছেন।
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন- ‘তোমাদের মধ্যে ঈমানে পরিপূর্ণ মুসলমান হচ্ছে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি। যেসব লোক নিজেদের স্ত্রীদের কাছে উত্তম তারাই তোমাদের মধ্যে অতি উত্তম।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১১৬২)
স্ত্রীর কাছে নিজেকে উপস্থাপনের মাধ্যমে এবং স্ত্রীর সাথে কাটানো সময় ও তার সাথে যে আচরণ করা হয়, এর মাধ্যমে একজন মানুষ কতটা ভালো তা নির্ধারণ হয়। তাই স্ত্রীর সাথে ভালো ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।