খাওয়ার পর যে দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়

দোয়া একটি ইবাদত। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও গুনাহ মাফে দোয়ার বিকল্প নেই। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ হয়, তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মুমিন: ৬০)

খাওয়ার পর এমন একটি বিশেষ দোয়া রয়েছে, যা পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা বান্দার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন। হাদিসের বর্ণনায় দোয়াটি হলো-
اَلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا الطَّعَامَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلَا قُوَّةٍ
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আত‘আমানি হাজাত্‌তা‘আমা ওয়া রাযাকানিহি মিন গাইরি হাউলিম মিন্নি ওয়া লা কুওয়্যাহ।
অর্থ: ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এই খাবার খাইয়েছেন এবং এটি আমার রিজিক করেছেন- আমার কোনো ক্ষমতা বা শক্তি ছাড়াই।’ (তিরমিজি: ৩৪৫৮)

হাদিসে বর্ণিত দোয়ার ফজিলত
হজরত সাহল ইবনে মুআজ (রা.) থেকে তাঁর পিতা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি খাবার খাওয়ার পর এই দোয়া পড়ে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৪৫৮)

দোয়াটির প্রভাব ও শর্তাবলী
১. ছোট গুনাহ মাফ: হাদিসে উল্লেখিত গুনাহ মাফ বলতে মূলত ছোট গুনাহ বোঝানো হয়েছে। বড় গুনাহ (কবিরা) থেকে মুক্তির জন্য সত্যিকারের তওবা জরুরি।
২. হালাল খাদ্য গ্রহণের গুরুত্ব: দোয়ার প্রভাব পেতে হলে খাবারটি হালাল হতে হবে। হারাম রিজিক গ্রহণ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলে গুনাহ মাফের আশা করা যায় না।
৩. আন্তরিকতা ও উপলব্ধি: এই দোয়া পড়তে হবে আন্তরিকতার সাথে। মনে রাখতে হবে, রিজিক একমাত্র আল্লাহর দান; বান্দার কোনো শক্তি বা অধিকার এতে নেই।
৪. ফরজ ইবাদতের বিকল্প নয়: এই ছোট দোয়া কখনোই ফরজ ইবাদতের বিকল্প নয়। কেবল এই দোয়ার ওপর নির্ভর করে গুনাহ মাফের আশা করা উচিত নয়।