দানের সওয়াব অনেক বেশি। দানে ধন বাড়ে। এতে দূর হয় রোগ-বালাই, হাতাশ-দুর্দশা, অভাব-অনটন, আর্থিক দৈন্য। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরা যা কিছুই দান কর, তিনি তার জায়গায় অন্য কিছু দিয়ে দেন। (সুরা সাবা, আয়াত: ৩৯)
দান প্রকাশ্যে ও গোপনে দুইভাবেই করা যায়। তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দান করা নিষেধ। ইসলামি শরিয়তে গোপনে দানকে যেমন অধিক ভালো বলা হয়েছে; তেমনই লোক দেখানো দানের ব্যাপারে সতর্কও করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ প্রকাশ্যে ও গোপনে দান করার ব্যাপারে বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা ২৭৪)
তবে যে ব্যক্তি গোপনে দান করে তার দানকে উত্তম বলেছেন আল্লাহ। তিনি বলেন, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো ভালো। আর যদি গোপনে দান করো এবং অভাবগ্রস্তকে দাও তা তোমাদের জন্য আরও ভালো।’ (সুরা বাকারা ২৭১)
কোরআন ও হাদিসে গোপনে দান করার ব্যাপারে যেমন উৎসাহিত করা হয়েছে তেমনই গোপন দানের অনেক ফজিলত বলা হয়েছে। কেয়ামতের দিন যখন সূর্য মাথার উপরে নেমে আসবে, প্রত্যেকে তার পাপের সমপরিমাণ ঘামে ডুবে থাকবে তখন আল্লাহ তাআলা এমন ব্যক্তিকে আরশের নিচে ছায়া দিবেন যে ডান হাতে দান করলে তার বাম হাত সে দানের কথা জানতে পারে না। (বুখারি ৬৬০; মুসলিম ১০৩১)
অন্যের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের পুরস্কার প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা ২৭৪)
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিধবা, গরিব, অভাবী ও অসহায়কে সাহায্য করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে সময় দিতে পারে না, সে রাত জেগে নফল নামাজ আদায় ও দিনভর রোজা রাখার সমান সওয়াব পাবে। (বুখারি)