পৃথিবীতে মুসলিমরা একে অপরকে সালামের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। সাক্ষাতের সময় এই অভিবাদন তাদের মধ্যে সম্মান ও সৌহার্দ্য প্রকাশ করে। তবে কোরআনে বর্ণিত অনুযায়ী, দুনিয়ার জীবন শেষ হওয়ার পরও জান্নাতবাসীরা পরস্পরের সঙ্গে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন বিনিময় করবেন।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য এমন জান্নাত তৈরি করা হয়েছে, যার নিচে নদী ও ঝরনা প্রবাহিত হবে। সেখানে তারা অনন্তকাল বসবাস করবে এবং তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’। (সুরা ইবরাহিম, আয়াত ২৩)
এই আয়াতে জান্নাতবাসীদের প্রতিদান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। কিয়ামতের দিন পাপী ব্যক্তিদের জাহান্নামে নেয়া হবে, অন্যদিকে তাদের সামনে জান্নাতবাসীরা অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জান্নাতের বাগানসদৃশ উদ্যানে প্রবেশ করবে। আয়াত থেকে জানা যায়, জান্নাতের তলদেশে নির্ঝরিণী ও নদী প্রবাহিত হবে, যেখানে বাসিন্দারা অনন্তকাল বসবাস করবেন এবং পরস্পরকে সালামের মাধ্যমে অভিবাদন জানাবেন।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, জান্নাতবাসীর কথা হবে, ‘হে আল্লাহ, তুমি পবিত্র মহান’ এবং তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’, যেখানে শেষভাবে তারা বলবে, সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সকল সৃষ্টির রব। (সুরা ইউনুস, আয়াত ১০)
এছাড়া আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যেদিন জান্নাতবাসীরা তার সঙ্গে সাক্ষাত করবে, সেদিন তাদের অভিবাদন হবে সালাম এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সম্মানজনক প্রতিদান। (সুরা আহযাব, আয়াত ৪৪)
এই আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায় যে জান্নাতে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্মানের প্রকাশ অব্যাহত থাকবে, যেখানে সালামই প্রধান অভিবাদনের মাধ্যম।