মায়ের গর্ভে নির্ধারিত হয় যে ৪টি বিষয়

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষের বীর্য চল্লিশ দিন পর্যন্ত গর্ভাশয়ে সঞ্চিত থাকে। চল্লিশ দিন পর তা জমাট রক্তে পরিণত হয়। এরপর আরও চল্লিশ দিন অতিবাহিত হলে তা মাংসপিণ্ড হয়ে যায়। এরপর আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা পাঠানো হয়। তিনি তাতে রূহ ফুঁকে দেন।

এ সময়েই তার সম্পর্কে চারটি বিষয় লিখে দেওয়া হয়—

১) তার বয়স কত হবে, ২) সে কি পরিমাণ রিজিক পাবে, ৩) সে কি কি কাজ করবে ও ৪) পরিণামে সে ভাগ্যবান হবে, না হতভাগা হবে। (বুখারি, হাদিস : ২৯৬৯, মুসলিম, হাদিস : ২৬৪৩)

আরেক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘বীর্য যখন কয়েক স্তর অতিক্রম করে মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়, তখন মানব সৃষ্টির কাজে আদিষ্ট ফেরেশতা আল্লাহ তায়ালাকে জিজ্ঞেস করেন, এই মাংসপিণ্ড দ্বারা মানব সৃষ্টি আপনার কাছে অবধারিত কি না? যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তরে না বলা হয়, তবে গর্ভাশয়ে সেই মাংসপিণ্ডকে পাত করে দেওয়া হয় এবং তা সৃষ্টির অন্যান্য স্তর অতিক্রম করে না। 

পক্ষান্তরে যদি জবাবে হ্যাঁ বলা হয়, তবে ফেরেশতা জিজ্ঞেস করেন, ছেলে না মেয়ে, হতভাগা না ভাগ্যবান, বয়স কত, কি কর্ম করবে এবং কোথায় মৃত্যুবরণ করবে? এসব প্রশ্নের জবাব তখনই ফেরেশতাকে বলে দেওয়া হয়। (ইবনে জরীর, ও ইবনে আবী হাতিম।)’