অন্যের বিপদ দেখলে যে দোয়া পড়বেন

বিপদ-আপদ কখন আসবে, তা কেউ জানে না। তাই বিপদ, দুশ্চিন্তা বা যেকোনো প্রয়োজনেই মুমিনরা সৃষ্টিকর্তার দরবারে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করেন। মহান আল্লাহ তাআলা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন—তিনি পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু। কোনো বান্দা যখন আন্তরিকতার সঙ্গে তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ তা’আলা তাকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেন না। পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন-
‘প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সূরা বাকারা: আয়াত ১৮৬)

খোদ রাসুলুল্লাহ (সা.)-ও বিপদের সময় আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে দু’হাত তুলে দোয়া করতেন। উম্মতদের জন্য তিনি দোয়া করার আদব ও পদ্ধতিও শিক্ষা দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে সাহাবায়ে কিরামের মাধ্যমে এসব দোয়ার বিবরণ হাদিসে এসেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে—বিপদগ্রস্ত কাউকে দেখলে আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করা।

হযরত ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- কেউ যদি কাউকে বিপদগ্রস্ত দেখে নিচের দোয়াটি পাঠ করে তবে সে যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত যেকোনো ধরনের বিপদ হোক না কেন, আল্লাহ তাকে সেই বিপদ থেকে মুক্ত রাখবেন। দোয়াটি হলো-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً إِلاَّ عُوفِيَ مِنْ ذَلِكَ الْبَلاَءِ
বাংলা: ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আফানি মিম্মাবতালাকা বিহি ওয়া ফাদ্দালানি আলা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফদিলান ইল্লা উফিয়া মিন জালিকাল বালায়ি।’
অর্থ: সব প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি আমাকে মুক্ত রেখেছেন সেই বিপদ থেকে যে বিপদে তোমাকে তিনি নিপতিত করেছেন। তিনি তার বহু সৃষ্টির ওপর মর্যাদা দিয়েছেন আমাকে। (ইবনু মাজাহ ৩৮৯২, তিরমিজি ৩৪৩১)