চুল রাখার সুন্নত পদ্ধতি

মাথার সামনের দিকে চুল বড় রেখে পেছন বা মাথার পাশের চুল ছোট করে রাখা যদিও নাজায়েজ নয় তবে তা নেক লোকদের রীতিবিরোধী। তাই এ থেকে বিরত থাকা উচিত। (কিতাবুত তারাজ্জুল, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ৭৭; বাযলুল মাজহূদ ১৭/৮৩)

আর পুরো মাথার চুল সমান করে কেটে ঘাড় ও কানের পাশের চুলের মাথা সমান করার জন্য ক্ষুর ব্যবহার করার অবকাশ আছে। (ফাতহুল বারী ১০/৩৭৮; তালিফাতে রশীদিয়া ৪৮৪; ইমদাদুল আহকাম ৪/৩৩৪)

রাসুলুল্লাহ (সা.) এহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য মাথা মুণ্ডাতেন। এছাড়া তিনি কখনো মাথা মুণ্ডাননি। এ সময় তিনি মাথা মুণ্ডানোকে চুল ছোট করে রাখার উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। 

এজন্য ইমাম তাহতাবী (রহ.) বলেন, মাথা ন্যাড়া করাও সুন্নত। আর কিছু অংশ মুণ্ডানো ও কিছু রেখে দেয়া নিষেধ। মুণ্ডাতে ইচ্ছে না করলে চুল ছোট রাখা যেতে পারে।

তবে পুরুষদের জন্য বাবরি চুল রাখা সুন্নাত। কেননা, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সাধারণ অভ্যাস ছিল বাবরি চুল রাখা। তা তিন পদ্ধতিতে হতে পারে-
এক. উভয় কাঁধ বরাবর।
দুই. ঘাড়ের মাঝামাঝি।
তিন. উভয় কানের লতি পর্যন্ত। (আবু দাউদ ৪১৮৩-৪১৮৭)

আলেমগণ তিন তরিকায় বাবরি রাখাকে সুন্নাত আর মাথার চুল ছোট করে রাখা বা মুণ্ডানোকে জায়েজ বলেন। এছাড়া সামনে বা পেছনে লম্বা রাখা অথবা ডানপাশে বা বামপাশে ছোট-বড় করে রাখাকে জায়েজ মনে করেন না। 

এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হল, চুলের যে কাটিং ভিন্ন কোন জাতি সত্তার অনুকরণে হবে, সেই পদ্ধতিতে চুল রাখা নাজায়েজের মধ্যে শামিল হবে। (মাহমুদিয়া ২৭/৪৬০, মিশকাত ৩৮১, ২৩২, ৩৮০)

মেয়েদের জন্য চুল মুণ্ডন করা বা কেটে ছেলেদের মতো করে ফেলা নিষেধ। আবার এতো বড় রাখা উচিত নয় যে, গোছলের সময় পানি পৌঁছানো কষ্টকর হয়। বরং পিঠ বা কোমর পর্যন্ত রাখা ভালো। সেমতে কোমরের নিচের অংশ কেটে ফেলা জায়েয হবে। অবশ্য না কাটলেও কোনো সমস্যা নেই। (তিরমিজি শরিফ ১/১৮২, মুসলিম শরিফ ১/১৪৮