কম্পিউটার আমাদের কাজ, যোগাযোগ, কেনাকাটা, গান শোনা, সবকিছুর ধরন বদলে দিয়েছে। আর জানেন কি, আপনার ল্যাপটপ বা পিসি শুধু কাজই সহজ করে না- এটি আপনাকে কাজের সময় মনোযোগ ধরে রাখতে বা চোখের চাপও কমাতে পারে।
আজকের এ ফিচারে এমন কিছু ল্যাপটপ ফিচারের কথা জানানো হচ্ছে যা আপনাদের জীবনকে আরও সহজ করে দেবে।
ডার্ক মোড চালু করুন
সারাদিন উজ্জ্বল স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা চোখের জন্য ক্ষতিকর। স্ক্রিনের আলো চোখে চাপ ফেলে, আর ব্লু-লাইট ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর সমাধান ‘ডার্ক মোড’। এতে স্ক্রিনের উজ্জ্বল রঙগুলো গাঢ় হয়ে যায়, যা চোখের জন্য আরামদায়ক। এমনকি এটি ব্যাটারিও বাঁচায়।
চালু করার নিয়ম
Personalization > Colors
Choose your color (বা Windows 11-এ Choose your mode)
Dark সিলেক্ট করুন
কাজ, গেমিং বা পড়াশোনা - যে কারণেই কম্পিউটারে বসুন, ডার্ক মোড চালু রাখলে চোখ আরাম পায়।
স্টার্ট মেনু কাস্টমাইজ করুন
Start বাটনটা মনে আছে? এখন এটা অনেক আধুনিক, রঙিন এবং সুবিধাজনক।
Windows 10-এ স্টার্ট মেনু কাস্টমাইজ করার নিয়ম
Settings > Personalization > Start > Choose which folders appear on Start
এখানে আপনি File Explorer, Settings, Documents ইত্যাদি ফোল্ডার দেখাবেন কি না বেছে নিতে পারবেন
কোন অ্যাপ শো করবে বা লুকাবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন
ফুল-স্ক্রিন স্টার্ট মেনু চাইলে: Settings > Personalization > Start > Use Start full screen
রঙ পরিবর্তন করতে Settings > Personalization > Colors
Windows 11-এ স্টার্ট মেনু কাস্টমাইজ করা
Settings > Personalization > Start
এখান থেকে নতুন অ্যাপ, ব্যবহৃত অ্যাপ, এবং ওপেন করা আইটেম দেখানো হবে কি না ঠিক করতে পারবেন
ফোল্ডার যোগ করতে Settings > Personalization > Start > Folders
পিন করা অ্যাপ সরাতে Unpin from Start, আবার যোগ করতে Pin to Start
টাস্কবারে স্টার্ট বাটনকে বামদিকে নিতে Settings > Personalization > Taskbar > Taskbar behaviors
এক স্লাইডেই পিসি বন্ধ করুন
একটি শর্টকাট তৈরি করে আপনি স্লাইড করে দ্রুত কম্পিউটার বন্ধ করতে পারবেন। ছোট একটি কোড ব্যবহার করলেই হবে।
নিয়ম (Windows 10 ও 11):
ডেস্কটপে রাইট-ক্লিক > New > Shortcut
এই কোডটি পেস্ট করুন: %windir%System32SlideToShutDown.exe
Next চাপুন
ফাইলের নাম দিন (যেমন: SlideToShutDown)
তৈরি হলে আইকনে রাইট-ক্লিক > Properties
Shortcut ট্যাব > Change Icon
পছন্দমতো আইকন সিলেক্ট করুন
এখন আইকনে ক্লিক করলেই স্লাইড করে শাটডাউন করতে পারবেন।
Nearby Sharing দিয়ে ফাইল শেয়ার করুন
Apple ডিভাইসের AirDrop-এর মতো Windows-এ আছে Nearby sharing—যার মাধ্যমে খুব দ্রুত ফাইল, ছবি বা লিঙ্ক শেয়ার করতে পারবেন।
Windows 10-এ Nearby sharing চালু
ডানদিকে Action Center-এ ক্লিক করে Nearby sharing চালু করুন
File Explorer, Photos app বা Microsoft Edge থেকে শেয়ার অপশন ব্যবহার করে ফাইল পাঠাতে পারবেন
অপর ডিভাইসের ইউজার Accept করলে ফাইল সেভ হবে
Windows 11-এ Nearby sharing চালু
Start > Settings > System > Nearby sharing
কোন ডিভাইসে শেয়ার করবেন সেটি ঠিক করুন
ফাইল শেয়ার করতে File Explorer-এ ফাইল সিলেক্ট করে Share
ছবি শেয়ার করতে Photos > Share
লিংক শেয়ার করতে Edge > Share
গ্রহণকারী ডিভাইসে Save বা Save & open অপশন দেখাবে।
মনোযোগ ধরে রাখুন
সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল, বা নোটিফিকেশন যদি বারবার মনোযোগ নষ্ট করে - তাহলে ব্যবহার করুন Focus assist। এটি আপনাকে ঠিক করতে দেয় কোন নোটিফিকেশন দেখবেন আর কোনটি লুকানো থাকবে।
Windows 10-এ Focus assist সেট করা
Start > Settings > System > Focus assist
Off / Priority only / Alarms only—একটি বেছে নিন
Priority list কাস্টমাইজ করতে Customize your priority list সিলেক্ট করুন
Focus assist বন্ধ হলে কোন নোটিফিকেশনগুলো মিস করেছেন তা জানার জন্য Show me a summary চালু রাখতে পারেন
Windows 11-এ Focus assist
Start > Settings > System > Focus assist
Priority only বা Alarms only সিলেক্ট করুন
Priority list কাস্টমাইজ করুন
যদি আপনার ল্যাপটপ কাজের মাঝখানে হঠাৎ সমস্যা করে, এটি আপনার প্রোডাক্টিভিটি নষ্ট করে দিতে পারে।
সূত্র : Asurion