জেনে নিন ফেসবুকে ফলোয়ার না বাড়ার কারণ   

বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক। বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ বন্ধু, পরিবার, সহকর্মী এবং একই আগ্রহের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। তথ্য শেয়ার করে এবং কমিউনিটি গড়ে তোলে।

ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ভালো কনটেন্টের মাধ্যমে নিজের মতামত বহু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং আয়ও করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ফলোয়ারের সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে অনেক সময় ভালো কনটেন্ট থাকা সত্ত্বেও ফলোয়ার বাড়ে না।

বিশেষজ্ঞরা জানান, এর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে

পরিষ্কার ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি না থাকা: প্রোফাইল ছবি, কভার, টোন এবং ভাষা যদি মিলিত না হয়, তাহলে মানুষ আপনাকে মনে রাখতে পারবে না।

অতিরিক্ত পোস্ট: এক দিনে খুব বেশি পোস্ট দিলে ফলোয়ার বিরক্ত হয়ে আনফলো করতে পারে। ফেসবুকের অ্যালগরিদমও অতিরিক্ত পোস্টকে কম প্রোমোট করে।

ঠিক সময়ে পোস্ট না করা: ফলোয়াররা অনলাইনে না থাকলে পোস্টের রিচ কমে যায়। পেজের ইনসাইট দেখে সেরা সময় নির্ধারণ করা এবং নিয়মিত সেই সময়েই পোস্ট করা জরুরি।

নিম্নমানের কনটেন্ট: ঝাপসা ছবি বা অডিও, এলোমেলো ফ্রেমিং দর্শকদের প্রথমেই স্ক্রল করতে বাধ্য করে। ফেসবুকে ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পোস্টের সময়সূচি ঠিক না থাকা: একদিনে কয়েকটি পোস্ট, তারপর কয়েকদিন কোনো পোস্ট না থাকা ফলোয়ারদের আগ্রহ কমিয়ে দেয় এবং অ্যালগরিদম পোস্টের রিচ কমিয়ে দেয়।

কপি-পেস্ট কনটেন্ট: অন্য পেজের কনটেন্ট হুবহু কপি করলে দর্শক আপনাকে অনন্য মনে করবে না। অ্যালগরিদমও কপি করা কনটেন্টের রিচ কমিয়ে দেয়।

নিজের প্রচারণা বেশি করা: শুধুমাত্র নিজের পণ্য, সেবা বা সাফল্যের খবর শেয়ার করলে দর্শক বিরক্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ৮০ শতাংশ পোস্ট হতে হবে তথ্য, বিনোদন বা মূল্যবান কনটেন্ট এবং ২০ শতাংশ প্রচারণা।

ট্রেন্ড উপেক্ষা: ফেসবুক ট্রেন্ড, ভাইরাল চ্যালেঞ্জ বা চলমান আলোচনায় অংশ না নিলে নতুন অডিয়েন্স আকর্ষণ করা কঠিন হয়।

যোগাযোগের অভাব: কমেন্টে উত্তর না দেওয়া বা ইনবক্সে প্রতিক্রিয়া না জানালে ফলোয়াররা উপেক্ষিত বোধ করে। কম এনগেজমেন্ট থাকলে অ্যালগরিদমও রিচ কমিয়ে দেয়।

এক ধরনের কনটেন্ট: একই মিম, খবর বা স্টাইলের পোস্ট বারবার করলে দর্শক আগ্রহ হারায়। পোস্টে বৈচিত্র্য আনা জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বিষয়গুলো ঠিক রাখলে ফলোয়ার বৃদ্ধি এবং অডিয়েন্সের সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।