৭ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে 'ব্লাড মুন' 

আগামী সেপ্টেম্বর আকাশপ্রেমীদের জন্য অপেক্ষা করছে এক অনন্য মহাজাগতিক দৃশ্য। ৭–৮ সেপ্টেম্বর ঘটবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, যেখানে চাঁদ রূপ নেবে লালচে আভায় ভরা ‘ব্লাড মুনে’। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, এটি সাম্প্রতিক বছরের দীর্ঘতম পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণগুলোর একটি, স্থায়িত্ব প্রায় ৮২ মিনিট।

কোথায় দেখা যাবে

এই বিরল গ্রহণ দেখা যাবে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার আকাশে। ফলে কোটি কোটি মানুষ সরাসরি সাক্ষী হবেন চাঁদের লাল হয়ে ওঠার এই বিস্ময়কর দৃশ্যের।

কেন চাঁদ হয় লাল

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝামাঝি চলে আসে। এতে পৃথিবীর গাঢ় ছায়া (অম্ব্রা) চাঁদের উপর পড়ে। তবে চাঁদ অদৃশ্য হয়ে যায় না, বরং লালচে আভা ধারণ করে।

এর কারণ হলো সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৌঁছায় চাঁদের দিকে। নীল ও বেগুনি রঙের আলো বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে যায়, কিন্তু লাল ও কমলা রঙের আলো সহজে চাঁদে পৌঁছে প্রতিফলিত হয়। বিজ্ঞানীরা একে বলেন 'রে-লি স্ক্যাটারিং'  (Rayleigh scattering)। এটাই সূর্যাস্তের সময় আকাশ লাল হয়ে ওঠার মতো একটি প্রক্রিয়া।

এই গ্রহণের বিশেষত্ব

দীর্ঘ সময়কাল: প্রায় ৮২ মিনিট স্থায়ী হবে পূর্ণগ্রহণ, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘতম।

বিস্তৃত দৃশ্যমানতা: অনেক চন্দ্রগ্রহণ কেবল নির্দিষ্ট অঞ্চলে দেখা গেলেও এবারকার ব্লাড মুন উপভোগ করা যাবে পূর্ব গোলার্ধের বিশাল অংশ থেকে।

কুসংস্কার নয়, বিজ্ঞান

যদিও জনপ্রিয়ভাবে একে ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট করেছেন—এতে কোনো রহস্য বা অলৌকিকতা নেই। এটি কেবল আলো-বিজ্ঞানের বিস্ময়কর প্রকাশ।

এক বৈশ্বিক উৎসব

৭-৮ সেপ্টেম্বরের রাত হবে জ্যোতির্বিজ্ঞানী, আলোকচিত্রী ও আকাশপ্রীত মানুষের জন্য এক বিশেষ সময়। রক্তিম আভায় ভেসে থাকা চাঁদ প্রকৃতির এক অসাধারণ প্রদর্শনী হয়ে উঠবে সবার কাছে।