বাংলাদেশের আকাশে রোববার (৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে দেখা মিলবে বিরল সুপারমুনের, যেটি ২০২৫ সালের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল পূর্ণিমা। যারা আজ রাতের চাঁদ দেখতে পারবেন না, তারা ৭ অক্টোবর রাতেও এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
এই সুপারমুনকে ‘হারভেস্ট মুন’ নামেও ডাকা হচ্ছে, যা প্রাচীন কৃষি সংস্কৃতির প্রতীক এবং তিনটি ধারাবাহিক সুপারমুনের প্রথমটি।
সাধারণ পূর্ণিমার তুলনায় ১৪% বড় ও ৩০% বেশি উজ্জ্বল চাঁদকে বলা হয় সুপারমুন। এটি ঘটে যখন চাঁদ তার কক্ষপথে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসে যাকে Perigee (পেরিজি) বলা হয়।
শরৎকালে বিষুব দিন (Autumn Equinox)-এর কাছাকাছি যে পূর্ণিমা দেখা দেয়, সেটিই হারভেস্ট মুন। প্রাচীন কৃষকরা এই উজ্জ্বল চাঁদের আলোতে রাতেও ফসল কাটার কাজ করতেন। এই মুনকে কখনো Hunter’s Moon নামেও ডাকা হয়।
দিগন্তে কাছাকাছি চাঁদ বড় ও লালচে দেখায়, যাকে Moon Horizon Illusion বলা হয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল নীল আলো ছেঁকে ফেলে, ফলে চাঁদের রং হয় কমলা বা লালচে।
এই সুপারমুন ফটোগ্রাফার ও আকাশপ্রেমীদের জন্য এক বিরল সুযোগ। ২০২৫ সালে আরও দুইটি সুপারমুন দেখা যাবে ৫ নভেম্বর এবং ৪ ডিসেম্বর।
উত্তর গোলার্ধের স্থান থেকে এই সুপারমুন সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে। বাংলাদেশ থেকে এই মহাজাগতিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করা যাবে। ভারত, চীন, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে দেখা যাবে সুপারমুন।