লালমনিরহাট তিস্তা রেলসেতুর বেশিরভাগ জায়গায় নেই নাটবল্টু। নষ্ট হয়ে গেছে অধিকাংশ স্লিপার। লোহার পাতের পরিবর্তে সেতুতে ব্যবহৃত বাঁশ তুলে ফেলে এখন ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। আর নাট বল্টুর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের শুকনো ডাল।
যাত্রীরা দুর্ঘটনার আশঙ্কা করলেও বেশ জোর দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে সুত্রে জানা যায়, ২ হাজার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ রেল সেতুটির বিভিন্ন স্থানে লোহার পাতের পরিবর্তে লাগানো হয় বাঁশ। তিস্তা সেতুর ওপর দিয়ে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ মোট ৩২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। অথচ এ রেলসেতুর অধিকাংশ স্থানেই নেই স্পাইক। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে কাঠ। এমনকি ফিসপ্লেট আটকানোর জন্যও নাট-বল্টুর বদলে গাছের ডাল ও লাঠি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক অংশে নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপার। এমনকি অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুতে লোহার পরিবর্তে লাগানো হয়েছে কাঠের পাটাতন। তাই যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, তিস্তা রেলসেতুর বেশিরভাগ অংশে লোহার নাটবল্টু নেই। এর পরিবর্তে গাছের ডাল ও কাঠ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। আবার রেল সেতুর অনেক যায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের ফালা। সেতুতে ট্রেন উঠলে জোরে ঝাঁকুনি হয়। খুব আতংকে আমরা ট্রেনে যাতায়াত করি।
তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেন, রেললাইনের লোহার নাটবল্টু বা চাবি এখন আর পাওয়া যায় না। তাই সাময়িক কাজ চালানোর জন্য সেখানে বাঁশের খিল ও কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, এটা সেতুর আমাদের মূল স্ট্রাকচারের কোনো অংশ না। যে কারণে এটা ব্রিজের সঙ্গে বা ট্রেন চলাচলে কোনোভাবে জড়িত না থাকায় এটি নিয়ে আসলে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আমরা সবসময় ব্রিজগুলোর দেখভাল করি।
এর আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা ছিলেন তারা পুরনো স্লিপার চিরে ব্রিজে ব্যবহার করেছে বলেও তিনি জানান।