মার্কিন নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে এখনো। কিন্তু ইতোমধ্যে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ২৭৭ ইলেক্টোরাল ভোট নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬ ইলেক্টোরাল ভোট।
ট্রাম্প জয় লাভ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় ইউক্রেন যুদ্ধের কী হবে, তা নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামাচ্ছেন। ইতিপূর্বে ট্রাম্পের কিছু মন্তব্য থেকে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি কী হবে তা নিয়ে ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এই ইস্যুতে গত বছর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, নির্বাচিত হলে তিনি মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের সমাধান করবেন। সিএনএন টাউন হলে তিনি বলেছিলেন, আমি যদি প্রেসিডেন্ট হই, তবে সেই যুদ্ধ এক দিনেই মিটিয়ে ফেলব।
এর আগে এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসাও করেছিলেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, রুশ নেতার সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে গর্বও করেছিলেন তিনি। একই সময়ে যুদ্ধের মধ্যে অতিরিক্ত মার্কিন সহায়তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধের সমালোচনাও করেছিলেন ট্রাম্প। জেলেনস্কির অনুরোধের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, এটি কখনোই শেষ হয় না।
ট্রাম্পের বিজয়ের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা দেখছে ক্রেমলিন। দেশটি বলেছে, ট্রাম্পের বিজয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সহায়তা করতে পারে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চেয়েছেন। তিনি এখন সেই পদক্ষেপ নেবেন কি-না তা সময়ই বলে দেবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ভুলে যাওয়া চলবে না যে আমরা একটি শত্রু রাষ্ট্রের বিষয়ে কথা বলছি। তারা আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বলেছেন, আমি চাই অফিসে প্রবেশের আগেই গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটুক।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিম কমিউনিটিগুলোও আশা করছে, এবার অন্তত বন্ধ হবে গাজায় ইসরায়েরি আগ্রাসন। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প বার বারই বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চালানো বন্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম কমিউনিটিগুলো কেউ কেউ এবার নির্বাচনে ভোটদানে বিরত ছিলেন। তবে বেভিরভাগ কমিউনিটিগুলোই ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। তারা ট্রাম্পের যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করেছেন। তারা এখনো বিশ্বাস করছেন এবার অন্তত কিছুটা লাঘব হবে ফিলিস্তিনের কষ্ট। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স ও মিডেলিস্ট মনিটর।