দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিততে পারেনি পাকিস্তান। নেতৃত্বে বদল এনেও চলতি সফরে ভাগ্যটা বদলায়নি শান মাসুদের দলের। তিন ম্যাচ সিরিজে ইতোমধ্যে ২-০ ব্যবধানে হেরে গেছে তারা। তবে তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে আশা দেখাচ্ছেন তরুণ অলরাউন্ডার আমের জামাল। ব্যাট হাতে দলের বিপদে ক্যারিয়ার সেরা ৮২ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৬ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে বড় লিডের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে চলতি সিরিজেই টেস্ট অভিষেক। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেই বাজিমাত। পার্থে ক্ষুরধার বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন ৫৯ বছর আগের স্মৃতি। তার আগে টেস্ট অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল পাকিস্তানের আর কেবল একজনের। এ ছাড়া সব দেশ মিলিয়ে সফরকারী বোলার হিসেবে অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে আর কেবল একজন বোলারের।
তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটসহ এখন পর্যন্ত চলতি সিরিজে ১৮ উইকেট শিকার করেছেন আমের জামাল। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে তিন ম্যাচ বা তার কমের অভিষেক সিরিজে ১৮ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন জামাল।
অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। পার্থ-মেলবোর্ন দুই টেস্টেই ব্যাটিং ইনিংসে বিপর্যয় দেখেছে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইউনিট। মেলবোর্নে জেতার সুযোগটাই তারা হারিয়েছে ব্যাটারদের ধারাবাহিকতার অভাবে। তবে সিডনিতে এসে আক্ষেপের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দেন আমের জামাল।
ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে স্টার্ক, কামিন্স কিংবা নাথান লায়নদের মতো বিশ্বসেরা বোলারদের হতাশ করে খেলেছেন ৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২২৭ রানে ৭ উইকেট হারানো পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৩১৩ রানে গিয়ে থামে। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬১ রান খরচায় একাই ৫ উইকেট নেন প্যাট কামিন্স।
এদিকে, দলের বিপর্যয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও খেলা দেখালেন জামাল। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তুলে নেওয়া অজিরা তার বোলিং তোপে পরবর্তী ১০ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাকি উইকেটগুলো। ৬৯ রান খরচায় ৬ উইকেট তুলে নেন জামাল। তার কল্যাণে ১৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে পাকিস্তান।