হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় পাকিস্তান

এক ওভারেই ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন জশ হ্যাজেলউড। দিনের শেষ বেলায় দুই ওভার বাকি থাকতে বোলিংয়ে আক্রমণে পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

বল তুলে দেন হ্যাজেলউডের হাতে। সেই ওভারে কোনো রান না দিয়েই তিন উইকেট শিকার করেন ডানহাতি এই পেসার। ভেঙে দেন পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড। বড় লিডের স্বপ্ন দেখা সফরকারীরা এখন ধবলধোলাইয়ে শঙ্কায়।

তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান করেছে পাকিস্তান। লিড জমা করেছে ৮২ রানের। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬ ও আমের জামাল অপরাজিত আছেন ০ রানে। সিডনিতে এর আগে প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথের জুটি এনে দেয় ৭৯ রান।

পরপর দুই ওভারে দুই ব্যাটারকেই সাজঘরের পথ দেখায় পাকিস্তান। লাবুশেন ৬০ ও স্মিথ ফেরেন ৩৮ রান করে। ট্রাভিস হেডও (১০) বেশিক্ষণ টেকেননি। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৮৪ রানের জুটি বাঁধেন মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারি। ৩৮ রান করা ক্যারিকে ফিরিয়ে তা ভাঙেন সাজিদ খান। এরপর আমের জামালের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯৯ রানে গুটিয়ে ১৪ রানের লিড নেয় পাকিস্তান। ৬৯ রান খরচে ৬ উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার। এছাড়া ৫৪ রান করেন মার্শ।

বড় লক্ষ্য গড়ার স্বপ্নে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান ধাক্কা খায় শুরুতেই। প্রথম ওভারেই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে (০) বোল্ড করেন মিচেল স্টার্ক। পরের ওভারে এসে অধিনায়ক শান মাসুদকে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন হ্যাজেলউড। তৃতীয় উইকেটে সাইম আইয়ুবকে নিয়ে অবশ্য কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন বাবর আজম।  

তবে ৩৩ রান করা আইয়ুবকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন ন্যাথান লায়ন। কিছুক্ষণ পর সাজঘরের পথ ধরেন বাবর আজমও। ট্রাভিস হেডের শিকার হওয়ার আগে ২৩ রান করেন তিনি। এরপর দিনের দ্বিতীয় শেষ ওভারে এসে একে একে ৩ উইকেট তুলে নেন হ্যাজেলউড। তার প্রথম বলে স্লিপে থাকা স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ দেন সাউদ শাকিল। তৃতীয় বলে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আসা সাজিদ খানের স্টাম্প উড়িয়ে দেন ডানহাতি এই পেসার। আর পঞ্চম বলে শিকার করেন আগা সালমানকে।  

এক ওভারের ব্যবধানে ৬৭/৪ থেকে ৬৭/৭-এ পরিণত হয় পাকিস্তান। চার উইকেট নিতে মাত্র ৫ ওভারে ৯ রান খরচ করেন হ্যাজেলউড।