অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে জোকোভিচের বিদায়

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ইয়ানিক সিনারের কাছে প্রথম দুই সেটে ৬-১ ও ৬-২ গেমে পিছিয়ে পড়ায় হার চোখ রাঙাচ্ছিল নোভাক জোকোভিচকে। তবে এমন অভিজ্ঞতা তাঁর জন্য নতুন নয়। এর আগে পিছিয়ে পড়ে একাধিকবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন এই সার্বিয়ান। গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারে ৮ বার প্রথম দুই সেটে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল জোকোভিচের। এবারও তৃতীয় সেটে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতলেন ৭-৬ (৮/৬) গেমে।

কিন্তু চতুর্থ সেটে আর শেষ রক্ষা হলো না। হেরে গেলেন ৬-৪ গেমে। এর আগে ১০ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে প্রতিবারই ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ। এবার আর পারলেন না ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। তাতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সামাজ্র্যও হাতছাড়া হলো এই টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১০ বারের চ্যাম্পিয়নের।

এই হারে মেলবোর্ন পার্কে জোকোভিচের টানা ৩৩ ম্যাচ জয়ের ধারাতেও ছেদ পড়ল। ইতালিয়ান চতুর্থ বাছাই সিনার শীর্ষ বাছাই জোকোভিচকে হারিয়ে শুরু করলেন নতুন এক দিগন্তের। তাঁর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ক্যারিয়ারে এটাই হতে যাচ্ছে প্রথম ফাইনাল।

ইতিহাসের প্রথম ইতালিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে একক ইভেন্টের ফাইনালে উঠলেন সিনার। বছরের প্রথম এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে জোকোভিচ সর্বশেষ হেরেছিলেন ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি দক্ষিণ কোরিয়ার হেইন চুংয়ের কাছে চতুর্থ রাউন্ডে। এরপর মাঝে ২১৯৫ দিনের ব্যবধানে টানা ৩৩ ম্যাচ জিতেছেন জোকোভিচ, টেনিসের উন্মুক্ত যুগে যা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে টানা জয়ের যৌথ রেকর্ড।

চিরায়ত সেই ধারাবাহিক জোকোভিচকে এ ম্যাচে দেখা যায়নি। ৫৪টি ‘আনফোর্সড এরর’ করেছেন, একটি ব্রেক পয়েন্টও নিতে পারেননি। র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় এ তারকার ছন্দহীন খেলার সুযোগ নিয়ে এবং নিজেও মাথা ঠান্ডা রেখে দুর্দান্ত খেলে ২০০৮ সালের পর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ছেলেদের এককে ফাইনালে উঠলেন সিনার (২২ বছর ১৬৩ দিন)। ১৬ বছর আগে (২০০৮) অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে পুরুষ এককে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে ওঠার রেকর্ড জোকোভিচের (২০ বছর ২৫০ দিন)। সেবার ক্যারিয়ারের প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপাও জিতেছিলেন তিনি।