ক্রিকেট ও ফুটবলে আবাহনী-মোহামেডানের শিরোপা দ্বৈরথ এ সময়ে তেমনটা জমে না। অনেকটা নিভৃতে শেষ হয় আবাহনী-মোহামেডানের লড়াই। তবে এবার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ কিছুটা হলেও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। তবে সেই ম্যাচে মোহামেডানের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির কার্ড নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।
লিগের বাইলজ অনুযায়ী, একজন খেলোয়াড় তিনটি হলুদ কার্ড পেলে পরবর্তী ম্যাচ খেলতে পারবেন না। সেই নিয়ম মোতাবেক জিমি তিনটি হলুদ কার্ড পাওয়ায় আবাহনীর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নিষিদ্ধ। কিন্তু জিমির ক্লাব মোহামেডান লিগ কমিটির এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জরুরি চিঠি দিয়েছে। মোহামেডানের ডিরেক্টর ইনচার্জ কাজী ফিরোজ রশীদ ফেডারেশনের সভাপতি বরাবর এই আবেদন জানিয়েছেন।
মোহামেডান ক্লাব চিঠিতে খানিকটা যুক্তিও তুলে ধরেছে। বাইলজে তিন হলুদ কার্ডে পরের ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এর আগে একটি অংশ রয়েছে। যেখানে বলা হয়, দুই হলুদ কার্ডের পর সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের ক্লাবকে অবহিত করে সাবধান করা হবে। এখন মোহামেডানের দাবি— দুই কার্ডের পর ফেডারেশন থেকে সতর্কতামূলক কোনো চিঠি না দেওয়ায় সরাসরি এমন নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়। লিগ কমিটির এমন সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের পাশাপাশি তৃতীয় হলুদ কার্ডের ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞার চিঠি ক্লাবে প্রেরণ অনেকটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
বাইলজের ধারা সুনির্দিষ্টভাবে পালন না করায় জিমির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছে মোহামেডান। এই দাবি পূরণ না হলে লিগের শেষ ম্যাচে অংশগ্রহণ না করার হুমকিও দিয়ে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মোহামেডানের হকিতে না খেলার ঘটনা আগেও রয়েছে। ২০২১ সালে ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে জিমির নিষেধাজ্ঞার জন্য খেলেনি মোহামেডান। লিগে যদি শেষ ম্যাচে তারা অংশগ্রহণ না করে, শেষ পর্যন্ত তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরবর্তী মৌসুমে প্রথম বিভাগে খেলতে হতে পারে!