সিনিয়রদের অফফর্ম দলে প্রভাব ফেলেছে: তাসকিন

সাত ম্যাচে ৩ জয়। ৪ হার। বড় দল বলতে গেলে শুধুমাত্র শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়। সুপার এইটে যে মানের ক্রিকেট খেললো বাংলাদেশ তাতেই গ্রুপ পর্যায়ের তিন জয়ের কৃতিত্বও কাটা পড়ে যাচ্ছে। বিশ্বকাপে এই পাস-ফেলের বৃত্তান্ত নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে। ঢাকায় দলের প্রতিনিধি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিশ্বকাপের ইতিবৃত্ত নিয়ে কথা বলেছেন দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। সেই আলোচনায় একটা বিষয় নিশ্চিত করে জানালেন তাসকিন যে, দলের কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটােেরর অফফর্ম পুরো দলের বাজে পারফরমেন্সে প্রভাব ফেলেছে।

বাংলাদেশের এই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিবের এটি নবম টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের অভিষেক আসর থেকেই তিনি খেলছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাঝে একটি বিশ্বকাপে বাদ পড়েছিলেন। টি- টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবেও বিশ্বকাপে খেলেছেন। সেই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবারের আসরে ব্যাটে-বলে পুরোদুস্তর ফ্লপ।

তাদের ব্যর্থতা কি পুরো দলের বাজে পারফরমেন্সে বড় প্রভাবক কিনা? এই প্রশ্নের উত্তরে কোনো লুকোছাপা করার চেষ্টা করলেন না তাসকিন আহমেদ। সত্যটা মেনে নিলেন। বললেন, ‘অবশ্যই দুইজন সিনিয়র ক্রিকেটারদের অফফর্ম আমাদের দলে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে কোনো প্রভাব ফেলেনি, কারণ মাঠের বাইরে তারা বেশ ভালো টিম ম্যান। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবার ব্যবহার খুব ভালো ছিল। অফ দ্য ফিল্ডে সব ঠিকই ছিল, কিন্তু আসলে দলের মূল খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত এসব কাটিয়ে উঠে সামনে ভালো কিছু করব।’

বিশ্বকাপের শেষ অংশে বাংলাদেশের মোটেও ভালো কিছু হয়নি। শেষের নেতিবাচক ক্রিকেটই এখন এই বিশ^কাপে বাংলাদেশের তুল্যমুল্যের বিচারক। সেই প্রসঙ্গে তাসকিন বলছিলেন, এই বিশ্বকাপে অবশ্য আমাদের কিছু পজিটিভ দিকও আছে। বোলিং ডিপার্টমেন্ট ভালো করেছে পুরো টুর্নামেন্টে, সুপার এইটে উঠেছি, প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩টা জয় পেয়েছিৃ  পজিটিভ দিক আছে, তবে নেগেটিভের সংখ্যাটাই বেশি। সবার মতো আমরাও হতাশ, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি। বোলিং ইউনিট শেষ কয়েক বছর ধরেই ভালো করে আসছে। আল্লাহর রহমতে সে ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখছে ইউনিটটা। সামনে আরও ভালো হবে, ভালোর তো কোনো শেষ নেই। তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচের মধ্যে ছিল। এখনও আছে। ওভারল ভালো করেছে মাশাল্লাহ। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তারকারা উঠে এসেছে, এটা একটা ইতিবাচক দিক। ইতোমধ্যেই বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছি যে আমাদের সবার ভেতর আলাদা সক্ষমতা আছে।’

লম্বা সময় ধরে দলের বেহাল ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে টি- টোয়েন্টির সহ-অধিনায়ক জানালেন,  ‘ব্যাটিং বিপর্যয়, টু বি অনেস্ট, প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন ব্যাটাররা উইকেট থেকে সহায়তা কম পেয়েছেন। আপনি যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্যান্য দেশও ভুগেছে। ওখানে বোলারদের একটু সুবিধা ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর উইকেট হয়তো কিছুটা ভালো হয়েছে, কিন্তু তাও আসলে এত লম্বা সময় ধরে ব্যাটিংয়ে বাজে সময় দেখিনি, দশ বছর ধরে খেলছি, এটা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে দল, আশা করি।’