চোটের কারণে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও আরেক অভিজ্ঞ পেসার জশ হেইজেলউডের ছিটকে পড়া নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ব্যক্তিগত কারণে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সরে দাঁড়ালেন দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র মিচেল স্টার্ক। তার অনুপস্থিতিতে নতুন নেতৃত্বে মাঠে নামবে দল—অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ।
এবার স্টার্কও না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী পেসত্রয়ীর একজনও আর রইলেন না দলে। প্রথম পছন্দের বোলিং আক্রমণ থেকে স্রেফ লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা আছেন স্কোয়াডে।
স্টার্কের সরে যাবার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, ‘আমরা মিচের সিদ্ধান্ত বুঝতে পেরেছি ও সম্মান করি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রতি মিচের অঙ্গীকার ও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পারফর্ম করার জন্য মুখিয়ে থাকে সে। তাকে না পাওয়া অবশ্যই বড় ধাক্কা। কিন্তু আসন্ন টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রমাণে সেরা সুযোগ অন্যদের সামনে।’
কামিন্স, হ্যাজেলউডের মত ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন মিচেল মার্শ। সম্প্রতি ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন মার্কাস স্টয়নিস। তাই পূর্বের দল থেকে ছিটকে যাওয়া পাঁচ জনের বদলি হিসেবে অস্ট্রেলিয়া দলে যোগ দিয়েছেন- জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, সিন অ্যাবট, ডোয়ার্শিস, স্পেনসার জনসন ও তানভীর সাঙ্গা।
সফরকালীন রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে স্পিন অলরাউন্ডার কুপার কনোলিকে।
২২ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ গ্রুপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২৫ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে অসিরা।
অস্ট্রেলিয়ার দল : স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, অ্যালেক্স ক্যারি, বেন ডোয়ার্শিস, নাথান এলিস, জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, অ্যারন হার্ডি, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিস, স্পেন্সার জনসন, মার্নাস লাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, তানভীর সাঙ্গা, ম্যাথু শর্ট ও এডাম জ্যাম্পা।