ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই বিপিএল, প্রাইজমানিতেও চমক

নতুন নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বিপিএল আয়োজনের প্রস্তুতিতে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি নতুন রূপে আয়োজন করতে যাচ্ছে বোর্ড। ইতোমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই অনুষ্ঠিত হতে পারে খেলোয়াড় ড্রাফট। সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে।

প্রথমবারের মতো বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য ‘রেভিনিউ শেয়ারিং’ মডেল চালু করছে বিসিবি, যা ভবিষ্যতে দলগুলোর আর্থিক কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। বিসিবির পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠুর মতে, ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও জাতীয় নির্বাচন থাকায় বিপিএলের জন্য হাতে খুবই সীমিত সময় আছে। সেই কারণেই ডিসেম্বর-জানুয়ারির উইন্ডোকে চূড়ান্ত করা হচ্ছে, যেখানে বোর্ড পাঁচ বা ছয় দল নিয়ে আয়োজনের চিন্তা করছে।

তবে বিকল্প সময় হিসেবে এপ্রিল-মে মাসে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে আগে আলোচনা ছিল। কিন্তু বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন, আবহাওয়া ও আন্তর্জাতিক সূচির কারণে তা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশে নিয়মিত বৃষ্টি হয়, বৈশাখী ঝড় শুরু হয়, এবং একই সময়ে আমাদের পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ রয়েছে। সুতরাং ওই সময় বিপিএল আয়োজন বাস্তবসম্মত নয়।’

ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া, কারণ একই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএল টি-টোয়েন্টি ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয়। তবে আমজাদ হোসেন মনে করেন, এ বিষয়টি বড় বাধা নয়, ‘গত দুই মৌসুমেও আমাদের বিপিএল একই সময়ে হয়েছিল। আইএল টি-টোয়েন্টি আর এসএ টোয়েন্টি চললেও আমরা ভালো মানের বিদেশি খেলোয়াড় পেয়েছি। কিছুটা প্রভাব পড়েছিল ঠিকই, কিন্তু টুর্নামেন্টের মানে ঘাটতি হয়নি।’

বিসিবি এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য আর্থিক দিক থেকেও কঠোর শর্ত দিয়েছে। প্রতিটি দলকে দিতে হবে ২ কোটি টাকা ফি, সঙ্গে টুর্নামেন্টের আগে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি, যা ছয় মাসের জন্য রাখতে হবে।