জয়-ইয়াসিরের সেঞ্চুরিতে দাপট চট্টগ্রামের

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন আসরের উদ্বোধনী দিনেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সূচনা করেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। রাজশাহীর স্পিন সহায়ক উইকেটে তাইজুল ইসলামদের ব্যর্থতা, সঙ্গে ফিল্ডারদের নৈপুণ্যের অভাব-সব মিলিয়ে বড় সংগ্রহ গড়েছে সফরকারীরা। মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলি চৌধুরীর সেঞ্চুরিতে ৪০১ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস, কিন্তু তাতেই তারা তৈরি করেছে শক্ত ভিত।

রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম। শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো ওপেনার সাদিকুর রহমান, মুমিনুল হক ও অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন তিনজনই ফেরেন খুব দ্রুত। তিন উইকেট হারিয়ে যখন দল বিপদে, তখন এক প্রান্তে অবিচল থাকেন মাহমুদুল হাসান জয়। টেস্ট দলে জায়গা হারিয়ে এই টুর্নামেন্টেই নিজেকে ফিরে পেতে চেয়েছিলেন তিনি-আর সেই ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা গেল ব্যাটে।

ধৈর্য, টেকনিক ও শট সিলেকশনে পরিণত ব্যাটিং উপহার দেন জয়। প্রথমে ধীরে এগিয়ে ৮৩ বলে ফিফটি, এরপর ১৩৮ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। ১২টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো ১২৭ রানের ইনিংসে ছিল তার পুরনো দৃঢ়তার ছাপ। অন্য প্রান্তে ইয়াসির আলি চৌধুরী খেলেছেন আরও আগ্রাসী ইনিংস—৬৪ বলে ফিফটি ছুঁয়ে ১০২ বলে সেঞ্চুরি। ১২৯ রানের ঝলমলে ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ৬টি ছক্কা।

এই দুই ব্যাটারের ২২১ রানের জুটি রাজশাহীর বোলারদের মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। তাইজুল ইসলাম কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের উইকেট তুললেও ততক্ষণে চট্টগ্রাম পৌঁছে গেছে তিনশর কাছাকাছি। পরে ইয়াসিরকেও ফেরান মেহরব হাসান।

মধ্যক্রমে দারুণ ব্যাটিং করেন উইকেটরক্ষক ইরফান শুক্কুর। ৬৩ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস চট্টগ্রামের ইনিংসকে ৪০০ পার করে দেয়। তবে শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ৮২.৩ ওভারে ৪০১ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।

রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে সফল, নেন ৪ উইকেট ১৫৯ রান দিয়ে। সুজন হাওলাদার ও মেহরব হাসান নেন দুটি করে উইকেট।

বড় সংগ্রহের জবাবে ব্যাট হাতে রাজশাহীর শুরুটা ভয়াবহ। হাসান মুরাদের বাঁহাতি স্পিনে মাত্র পাঁচ ওভারের মধ্যে তারা হারায় দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান করেন ১ রান, নাইটওয়াচম্যান শফিকুল ইসলাম ফেরেন শূন্য রানে। দুজনই কট বিহাইন্ড।

দিন শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ মাত্র ১ রান ২ উইকেটে। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক সাব্বির হোসেন ও রাহিম আহমেদ।