বাংলাদেশের টেস্ট দলে দীর্ঘদিন ধরে একজন নির্ভরযোগ্য নাম তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজেকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন দলের অন্যতম অটো চয়েস ক্রিকেটার হিসেবে। সাদা বলের ক্রিকেটেও তার উপস্থিতি কার্যকরী হলেও আসল পরিচয় তিনি পেয়েছেন লাল বলের ক্রিকেটে।
দেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে দুইশো উইকেটের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন অনেক আগেই। এবার সামনে আরও বড় স্বপ্নপূরণের সুযোগ-সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেটকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটশিকারী হওয়ার।
এই মুহূর্তে তাইজুলের সংগ্রহ ২৪২ উইকেট। অর্থাৎ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরের আসন্ন টেস্টে মাত্র পাঁচটি উইকেট পেলেই নাম লিখিয়ে ফেলতে পারবেন নতুন রেকর্ডে। পরিসংখ্যান বলছে-সাকিব যেখানে ১২১ ইনিংসে পৌঁছেছিলেন ২৪৬ উইকেটে, সেখানে তাইজুল ৪২ ইনিংসেই স্পর্শ করেছেন ২৪২ উইকেট। তবে বল করার সংখ্যায় এগিয়ে আছেন তাইজুল; তার ডেলিভারি সংখ্যা অনেক বেশি হলেও ধারাবাহিকভাবে উইকেট এনে দিয়েছেন দলকে।
২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অভিষেকের পর থেকেই তাইজুল নিজের জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে। অভিষেক ম্যাচেই নজর কাড়ায় তার পথচলা আর থেমে থাকেনি। সাকিবের সঙ্গে মিলে তৈরি করেছিলেন দুর্দান্ত স্পিন জুটি, যাদের ওপর নির্ভর করেই বহু ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবের অভিষেকের পর ৩৪ টেস্টে পাওয়া ১২২ উইকেট এবং পরবর্তী ৩৭ টেস্টে আরও ১২৪ উইকেট-সব মিলিয়ে তার অর্জনও অনন্য, কিন্তু তাইজুল তাকে খুব কাছ থেকেই পেছনে ফেলতে চলেছেন।
একসঙ্গে খেলা ২৬ টেস্টে সাকিবের ১০২ উইকেটের তুলনায় তাইজুল পেয়েছেন ৯৪ উইকেট, যা পারফরম্যান্সের দিক থেকে তাদের অবস্থানকে প্রায় সমান করে দিয়েছে। ঘরের মাঠে তো তাইজুল এগিয়েই আছেন, সাকিবের ৮৪ উইকেটের বিপরীতে তাইজুল পেয়েছেন ৮৫টি।
বর্তমানে জাতীয় দলে অনুপস্থিত থাকার কারণে সাকিবকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হিসাবটা আরও সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাইজুলের জন্য। এখন কেবল মিরপুরের অপেক্ষা। ১৯ নভেম্বর শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টেই কি জন্ম নেবে নতুন উইকেট-সম্রাট?