ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ হতে না হতেই ম্যাচের দিকনির্দেশনা পরিষ্কার হয়ে গেছে-বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে জয়ের পথে। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের দাপটের পর আয়ারল্যান্ডকে মাত্র ২৬৫ রানে থামিয়ে ২১১ রানের লিড তোলে বাংলাদেশ। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ওপেনারদের প্রভাবশালী ভূমিকায় সেই লিড আরও বড় হয়ে দাঁড়ায় ৩৬৭ রানে।
মিরপুরে আজ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ের পরিচয়। সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় শুরু থেকেই শট খেলতে আগ্রহী ছিলেন। চা বিরতির আগে ৭ ওভারে দ্রুত ৪১ রান তুলেই সেট হয়ে যান দুজন। বিরতির পর আরও দৃঢ়ভাবে এগিয়ে লিডকে দ্রুত ৩০০’র ওপরে নিয়ে যান। দুজনই তুলে নেন অর্ধসেঞ্চুরি এবং শতরানের জুটি গড়ে ম্যাচকে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করেন।
জয় ৯১ বলে ৬০ রানে সাজঘরে ফিরলে জুটি ভাঙে। এরপর মুমিনুল হক নেমে দ্রুত রান তুলে ইনিংসকে গতি দেন। দিন শেষে বাংলাদেশ ৩৭ ওভারে ১ উইকেটে ১৫৬ রান তুলে খেলা শেষ করে। সাদমান ৬৯ রানে অপরাজিত, আর মুমিনুল ১৯ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন তাকে। স্বাগতিকরা তখন পর্যন্ত লিড নিয়ে নিয়েছে ৩৬৭ রান, যা ম্যাচের গতিপথ স্পষ্ট করে দেয়।
এর আগে দিনের শুরুতে আয়ারল্যান্ডের লরকান টাকার ও স্টিফেন দোহেনি প্রতিরোধ গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আগের দিনের ৯৮/৫ অবস্থান থেকে তারা ব্যাটিং স্থির রাখেন এবং বাংলাদেশের বোলারদের কিছুটা চাপে ফেলেন। এমন সময় আকস্মিক ভূমিকম্পে ম্যাচ কয়েক মিনিটের জন্য থেমে যায়।
খেলা ফেরার পরই শুরু হয় বাংলাদেশের পাল্টা আক্রমণ। তাইজুল ইসলাম দোহেনি ও ম্যাকব্রাইনকে একই ওভারে বোল্ড করে আয়ারল্যান্ডকে বড় ধাক্কা দেন। পরে ইবাদত ও খালেদও উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডের প্রতিরোধ ভেঙে দেন। তাইজুলের ৪ উইকেট দলের লিড বড় করায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে এবং সেই সঙ্গে তিনি টেস্টে সাকিব আল হাসানের উইকেটসংখ্যাকে ছুঁয়ে ফেলেন।