ব্রাজিলের ক্লাব অ্যাটলেটিকো এমজির বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে থাকল ফার্নান্দিনহোর ফুটবল ক্যারিয়ারের শেষ অফিসিয়াল ম্যাচ। দীর্ঘ এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার, অজস্র শিরোপা আর অসামান্য সাফল্যের পর্ব শেষে পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানালেন ব্রাজিলের তারকা মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনহো।
প্রায় এক বছর ধরে তিনি কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন না। সম্প্রতি ব্রাজিলে একটি চ্যারিটি ম্যাচ খেলার পর ৪০ বছর বয়সী এই কিংবদন্তি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলেন, তিনি আর পেশাদার ফুটবলে ফিরছেন না।
বিদায় ঘোষণার সময় ফার্নান্দিনহোর কণ্ঠে ছিল গভীর পরিতৃপ্তি ও পরিপূর্ণতার সুর। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, তিনি আর ফুটবলে নতুন কিছু খুঁজে পান না। যা অর্জন করার ছিল, সবই করেছেন। এখন তার মনে হচ্ছে ফুটবলে থাকার আর প্রয়োজন নেই। বাকি জীবনটুকু তিনি পরিবারকে দিতে চান বলেও উল্লেখ করেন।
ব্রাজিলের ক্লাব অ্যাথলেতিকো পারানেন্সের হয়ে তার ফুটবল যাত্রা শুরু হয়। ইউরোপের মঞ্চে তার যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দোনেৎস্কে যোগ দেয়ার মাধ্যমে। শাখতারে কাটানো বছরগুলো ছিল তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অধ্যায়। সেখানে তিনি ৬টি লিগ শিরোপা জেতেন এবং ২০০৯ সালে উয়েফা কাপ (বর্তমান ইউরোপা লিগ) জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর নজর কাড়ে।
২০১৩ সালে তিনি পা রাখেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। এই ক্লাবটিই হয়ে ওঠে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রধান ঠিকানা। সিটির হয়ে তিনি খেলেছেন ৩৮৩টি ম্যাচ এবং জিতেছেন মোট ১৩টি বড় শিরোপা, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ এবং ছয়টি লিগ কাপ। মাঠের ভেতরে-বাইরে তার নেতৃত্বগুণ এবং দৃঢ়তা সিটির মিডফিল্ডকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছিল। ২০২২ সালে তার সিটি ছাড়ার সিদ্ধান্তে কোচ পেপ গার্দিওলাও বিস্মিত হয়েছিলেন।
ক্লাবের হয়ে যেমন উজ্জ্বল ছিলেন, তেমনি জাতীয় দলের জার্সিতেও ফার্নান্দিনহো কম অবদান রাখেননি। ব্রাজিলের হয়ে তিনি ৫৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন এবং দুটি বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ী দলেও তিনি ছিলেন অন্যতম সদস্য। এছাড়াও অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপও জিতেছিলেন এই তারকা মিডফিল্ডার।