বাছাই খেলোয়াড়ের তালিকায় এক নম্বরে ছিলেন ইয়ানিক সিনার। ইউএস ওপেনে সেই তকমাটা ধরে রেখেছেন এই ইতালিয়ান। টেলর ফ্রিটজকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়ে জয় করেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ইউএস ওপেন শিরোপা। ৬-৩, ৬-৪ ও ৭-৫ গেমে ম্যাচ জিতেছেন তিনি।
সিনারের এ জয়ে যুক্তরাষ্ট্রের না পাওয়ার বেদনা আর দীর্ঘায়িত হলো। একটা সময় ইউএস ওপেনে যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও এ সময়ে তাদের কাছে সোনার হরিণে রূপ নিয়েছে। ২১ বছর কোনো আমেরিকান এই শিরোপা জয় করতে পারেনি।
ইউএস ওপেন জয়ের মাঝ দিয়ে একটা কীর্তিও গড়েছেন সিনার। এ বছর তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনও জয় করেছেন। এটা ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। ১৯৭৭ সালের পর একই মৌসুমে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের ঘটনা এটি। সে সময় গুইলারমো ভিলাস তার ক্যারিয়ারের প্রথম দুই গ্র্যান্ড স্ল্যাম একই মৌসুমে জয় করেছিলেন।
সিনারের কীর্তি এখানেই শেষ নয়। প্রথম ইতালিয়ান হিসেবে তিনি ইউএস ওপেন জয় করার কীর্তি গড়েছেন। সিনার এর আগে কখনো ইউএসে ওপেনের ফাইনালে উঠতে পারেননি। ইউএস ওপেনে তার সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। পরের আসরে অবস্থা খারাপ ছিল। চতুর্থ রাউন্ডে থেকে বিদায় নেন। এবার ফাইনালে উঠেই শিরোপার দেখা পেয়েছেন। এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালেও খেলা হয়নি তারা।
এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়টা তার জন্য খুবই কঠিন ছিল। রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ তাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিলেন। টানা দুই সেট হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সিনার। শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় করেন তিনি। তবে ইউএস ওপেনে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়নি। সরাসরি সেটে ফাইনাল জয় করেন এই ইতালিয়ান।
শিরোপা জয়ের পর সিনার তা তার চাচীর উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার চাচীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। আমি জানি আর কতদিন তার সঙ্গে থাকতে পারবো। আমি ভাগ্যবান যে এখনো আমার অনুভূতিগুলো তার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারছি। তিনি আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।