বিশ্বে এমন একটি দেশ আছে যেখানে গরু ঢেঁকুর তুলতেই দিতে হবে বাড়তি কর। আর সেই দেশ হলো উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক। দেশটিতে কেউ যদি গরু পালন করে, তবে সরকারকে দিতে হয় বাড়তি কর। খবর ডয়চে ভেলের।
গরুর ঢেঁকুর আর করের নেপথ্যে আছে মিথেন গ্যাস। ঘাস খায় এমন গরু ঢেঁকুর তুলতে তাদের মুখ থেকে বের হয় ক্ষতিকর ওই গ্যাস। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মিথেন পরিবেশের জন্য কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর। তাই ডেনমার্ক নিয়েছে এমন ব্যবস্থা। যাতে কৃষকরা আরও পরিবেশবান্ধব উপায়ে গরু পালন করে।
দশটি গরুর ঢেঁকুরে বছরে এক টন মিথেন নির্গত হয়। টন প্রতি এই মিথেনের ওপর কর দশ ইউরো। তবে এই কর আরোপ নিয়ে মাথাব্যথা নেই গরুর খামারিদের। পরিবেশের কথা বিবেচনায় তারা বাড়তি করের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোও বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট। সর্বোপরি দেখভাল করছেন ডেনমার্কের কৃষি মন্ত্রণালয়ও।
গবাদি পশু পালনকারী ক্রিস্টিয়ান কখের একহাজার গরুর মালিক। তিনিও মানছেন গরু থেকে বের হওয়া এই মিথেন গ্যাস আসলেই ক্ষতিকর। ক্রিস্টিয়ান বলেন, ‘আমি মনে করি ডেনমার্কের মানসিকতা একটু আলাদা। আমরা সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করে ট্রাক্টর নিয়ে প্রতিবাদ করতে চাই না।’ তিনি এটাও জানেন কম ঢেঁকুর উৎপাদন হয় এমন খাবার গরুকে দিলে করের বোঝাও কমবে।
দেশটির খাদ্য, কৃষি এবং মৎস বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াকব ইয়েন্সন বলেছেন, ‘বার্তাটি হচ্ছে কৃষকদেরকে আরও পরিবেশবান্ধব খামার গড়তে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা খামারের কিছু জমি নিয়ে নেবো এবং সেখানে বন গড়বো। আর এটা দ্রুত করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি কর সংক্রান্ত যে সমঝোতায় আমরা পৌঁছেছি সেটার কারণে এসব কিছু আগের চেয়েও দ্রুত গতিতে করা যাবে।’
ডেনমার্কের পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থাগুলো অবশ্য চায় না কৃষকরা গবাদি পশুর খাদ্য পরিবর্তন করুক। তবে তারা করের বিষয়টিতে সরকারের প্রশংসাও করেছে।
এর আগে, সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড সরকার।