ইসলামের দৃষ্টিতে কেবলমাত্র মহান আল্লাহই জীবনের স্রষ্টা এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবন দানের ক্ষমতাধারী। আল্লাহ নবী- রাসূলদের বিশেষ মুজিজা প্রদর্শনের ক্ষমতা দিয়েছিলেন। এরমধ্যে ঈসা (আঃ) আল্লাহর আদেশে মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারতেন। এটা ছিলো আল্লাহরই এক বিশেষ অনুগ্রহ। সূরা আল ইমরান আয়াত ৪৯ এবং সূরা মায়িদার ১১০ নম্বর আয়াতে এই মুজিজার বর্ণনা পাওয়া যায়।
এছাড়া সহিহ মুসলিমের হাসিসে বলা আছে, দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিদের জীবিত করতে পারবে এবং তাকে অলৌকিক ক্ষমতা দেওয়া হবে। যা হবে কেয়ামতের সবচেয়ে বড় আলামতগুলোর মধ্যে একটি।
সম্প্রতি আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী এমন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, যা দিয়ে তারা দাবি করছেন মৃত দেহকে পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হতে পারে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, বাস্তবেই এমন কিছু গবেষণা চলছে।
মৃত মানুষকে জীবিত করে দেখাবে দাজ্জাল সত্যিই কি সেই সময় চলে এসেছে যখন!
কয়েক বছর আগেও এমন কিছু শোনা ছিল অসম্ভব! মরদেহ জীবিত করার কথা ভাবলেই মনে হয় গল্পের বইয়ের কল্পনা। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বিজ্ঞানীরা এমন এক অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে, যা আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে পাল্টে দিতে পারে।
আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী ক্রায়োনিক্স (Cryonics) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন মরদেহ সংরক্ষণের জন্য। এই প্রক্রিয়ায় মরদেহ বা মস্তিষ্ককে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে সেই দেহকে জীবিত করা সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অবস্থিত Alcor Life Extension Foundation ও মিশিগানের Cryonics Institute এরা এই পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল।
এরমধ্যে Alcor Foundation প্রতিষ্ঠিত ১৯৭২ সালে, আর Cryonics Institute গড়ে ওঠে ১৯৭৬ সালে। এরা শতাধিক মরদেহ এবং মস্তিষ্ককে সংরক্ষণ করছে, সেসব দেহের ভবিষ্যতের পুনরুজ্জীবনের আশায়। প্রশ্ন উঠছে এটা কি আদৌ সম্ভব?
এই গবেষণা প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হচ্ছে একদিন এমন প্রযুক্তি তৈরি করা, যা দেহের সমস্ত কোষকে পুনরায় কার্যক্ষম করতে পারবে। কিন্তু এখানে এক বড় প্রশ্ন থেকেই যায় এই গবেষণা কতটা সফল হবে?
অনেকেই মনে করেন, এটি দাজ্জালের প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে। সহিহ মুসলিমের হাদিসে বলা আছে, দাজ্জাল মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করবে এবং কৌশল ব্যবহার করে তাদের আকৃষ্ট করবে।