অনেকের মনেই ধারণা ছিল যে, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কের ক্যানসার হতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশ্বজুড়ে একটি গবেষণায় উঠে আসছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্যানসার বা অন্যান্য মাথা ও গলার ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক নেই। এর ফলে মানুষের মনে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে যে আতঙ্ক ছিল তার অবসান হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সমীক্ষা নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে ঐকমত্য ছিল। তা সত্ত্বেও মাঝে মধ্যে বেশকিছু আলোচনায় উঠে এসেছে মোবাইল ফোনের বেতার তরঙ্গের কারণে মস্তিষ্কের ক্যানসারের ত্বরান্বিত হওয়ার ইঙ্গিত। ২০১১ সালে আইএআরসি বেতার তরঙ্গকে মানব স্বাস্থ্যেরর জন্য কার্সিনোজেনের তকমা দিয়েছিল, আর এই ঘটনার কারণে মস্তিষ্কের ক্যানসার মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে আরও গবেষণা, পর্যালোচনা শুরু হয়। গবেষণাপত্রটি ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র এই সমীক্ষা এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি তথ্যপ্রমাণ সমৃদ্ধ বলে দাবি করা হয়েছে। এতে ৫ হাজার স্টাডি উল্লিখিত হয়েছে যার মধ্যে ৬৩টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। আর এই সমীক্ষায় স্পষ্টই বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যদি ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাহলেও তার মস্তিষ্কের ক্যানসারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। কতক্ষণ তারা মোবাইল ব্যবহার করছে, কতক্ষণ ফোনে কথা বলছে তার সঙ্গেও ব্রেন ক্যানসারের কোনো সংযোগ নেই।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে কিছু সেফটি লিমিট রয়েছে, এই লিমিটের মধ্যেই খুব লো-লেভেল রেডিও ওয়েভ নিঃসরণ করে মোবাইল ফোন। ফলে এর কারণে মানব স্বাস্থ্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়েছে এমন উদাহরণ পাওয়া যায়নি।