এআই। এটিকে এখন আমরা পরম বন্ধু মনে করি। যখন যা কিছু জানতে ইচ্ছা হচ্ছে, আমরা খুব সহেজেই এটার সাহায্য নিয়ে জানতে পারি। নিতান্তই সময় কাটানোর জন্য গল্পও করতে পারছি এই এআইয়ের সঙ্গে। এমনকি অনেকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করছেন আবার নানান পরামর্শ নিচ্ছেন এআইয়ের কাছ থেকে। কিন্তু এআই আসলেই কি নিরাপদ? এআইয়ের সব কথাই কি সত্যি? সব কিছুই কি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়? চলুন, জেনে নেওয়া যাক--
চ্যাটজিটিপির নির্মাতা ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান এবার নিজেই সতর্ক করলেন এআই ব্যবহারকারীদের। দিন দিন এআই কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর মানুষের আস্থা ও নির্ভরতা বাড়ছে। তবে নির্ভরতা বাড়লেও আস্থার ব্যাপারে সতর্ক হতে পরামর্শ দিলেন এআই নির্মাতা নিজেই।
সম্প্রতি ওপেনএআইয়ের নিজস্ব পডকাস্ট সিরিজের প্রথম পর্বে অল্টম্যান জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখনো ভুল তথ্য দেওয়ার ঝুঁকি বহন করে, অথচ মানুষ সেগুলো চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করছে। এআই অনেক সময় এমন তথ্য দেখায়, যার বাস্তবে কোনো ভিত্তি নেই। আর তাই এআই প্রযুক্তির দেওয়া সব তথ্য বিশ্বাস করা বিপজ্জনক হতে পারে। কখনো কখনো বাস্তব অস্তিত্ব না থাকলেও সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয় চ্যাটজিপিটি, যা আদতে সম্পূর্ণ মনগড়া।
স্যাম অল্টম্যান তার নিজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। সম্প্রতি তিনি বাবা হয়েছেন। এ সময় বিভিন্ন কাজে চ্যাটজিপিটির ওপর নির্ভরতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল তার। সন্তানের ঘুমের রুটিন তৈরি, ডায়াপারের কারণে হওয়া র্যাশ সমস্যার সমাধান জানার পাশাপাশি প্রায় সব কাজেই চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়েছেন। তবে চ্যাটজিপিটির দেওয়া সব তথ্য নিখুঁত বলে মনে হয়নি তার।
এ বিষয়ে স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘এআই ব্যবহার বাড়লেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা মানুষের হাতেই থাকা উচিত। আমরা একটি শক্তিশালী প্রযুক্তির সূচনায় রয়েছি। এখনই যদি আমরা সচেতন না হই, তবে আস্থা ও নির্ভরতার গতির সঙ্গে প্রযুক্তির বাস্তব সক্ষমতা তাল মেলাতে পারবে না।’
আপনি এআইকে এমন একটি শব্দ বিশ্লেষণ করতে বলুন যার আসলে কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু দেখবেন এআই সেটিকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একটি সু-প্রণোদিত কিন্তু মিথ্যা ব্যাখ্যা করে দেবে আপনাকে। তাই এআই আপনাকে কোনো ব্যাখ্যা দিলো আর আপনি বিশ্বাস করে নিলেন, সেই মতোই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপদে পড়তে পারেন। তাই এআইয়ের সপব কথা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করার আগে নিজে ভেবে দেখুন একবার।