চীনের এআই প্রতিষ্ঠান ডিপসিক তাদের নতুন এআই মডেল রিলিজের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। আর এ কারণেই নতুন মডেলটি বাজারে আনতে বিলম্ব হচ্ছে তাদের। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ব্যবসা ও অর্থনীতিবিষয়ক ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
প্রতিবেদন বলছে, হুয়াওয়ের চিপ ব্যবহার করে নিজেদের নতুন এআই মডেলটিকে প্রশিক্ষণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে ডিপসিক। ফলে এটি যথাসময়ে রিলিজ করা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। এর মাধ্যমে চীনে তৈরি এআই চিপের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি আবারও সামনে চলে এল।
এনভিডিয়া’র মতো আমেরিকান চিপ নির্মাতাদের তৈরি উচ্চ সক্ষমতার এআই চিপের অবর্তমানে উন্নত এআই মডেল তৈরি যে বেশ চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয় তা এখন ভালোই বুঝতে পারছেন ডিপসিক কর্তারা।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে চীন-মার্কিন শুল্কযুদ্ধ শুরুর পর আমেরিকা সরকার চীনের বাজারে এনভিডিয়ার ‘এইচ২০’ এআই চিপ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে আরেক চিপ নির্মাতা এএমডি’র ‘এমআই৩০৮’ চিপটিও। ফলে বিপাকে পড়ে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো।
তবে সম্প্রতি (১১ আগস্ট) এই চিপ দুটি চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছে আবারও বিক্রির অনুমতি পেয়েছে এনভিডিয়া ও এএমডি। কিন্তু সেজন্য তাদেরকে চীনের বাজারে চিপ দুটি’র বিক্রি থেকে আয়ের ১৫ শতাংশ আমেরিকা সরকারকে প্রদান করতে হবে। এ নিয়ে সরকারের সাথে একটি চুক্তি সম্পাদনও করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
উল্লেখ্য, গেল জানুয়ারিতে এআই দুনিয়াকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিল চীনের ডিপসিক। অতি স্বল্প খরচে তৈরি শক্তিশালী এআই মডেল ‘আর১’ বাজারে এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল চীনের এআই প্রতিষ্ঠানটি।
ডিপসিকের আগমনে সে সময় ধাক্কাটা বেশ ভালোই অনুভব করেছে এআই চিপ নির্মাতা এনভিডিয়াসহ আমেরিকার শীর্ষ এআই প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে এআই খাতে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রীতিমতো কৈফিয়ত দিতে হয়েছিল বিনিয়োগকারীদের কাছে।
কিন্তু সে ধাক্কা সামলে উঠে সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য অতিক্রম করেছে এনভিডিয়া। অন্যদিকে, ডিপসিককে তাদের এআই মডেলের প্রশিক্ষণের জন্য এবার হয়তো এনভিডিয়ার দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।
সূত্র: রয়টার্স